
শেরপুর (বগুড়া) :
বগুড়ার শেরপুর মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা গোপনে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে কলেজ গেট ভিতর থেকে বন্ধ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুর ২টা থেকে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হবার কথা। সেখানে দুপুর ১টার আগেই কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক ও সাড়ে ৩টার দিকে আরো কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য কলেজে গেলে গেট ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। এ সময় সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে জানানো হয় কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এভাবে কঠোর গোপনীয়তায় পরীক্ষা নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পরে পরীক্ষা তদারকির দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষানবিশ) ফয়সাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা চলাকালে বাইরের কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি পাবলিক পরীক্ষাতেও এটি প্রযোজ্য। পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা গেটের বাইরে অপেক্ষার পর সাংবাদিকরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পান। এরপর তারা জানতে চান, পরীক্ষাকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে কোনো সরকারি নির্দেশনা বা ১৪৪ ধারা জারী ছিল কি না। উত্তরে ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এটি নিরাপত্তার স্বার্থে করা হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না। এরপর তিনি মৌখিকভাবে আরো জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ১৩ জন আবেদনকারির মধ্যে ১০জন উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের কোন নাম ঠিকানা দেননি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, সাধারণত তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তবে এখানে কেন ব্যতিক্রম হলো, সেটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
অপরদিকে কলেজের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজকে বাহির থেকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রসাশক হোসনা আফরোজা বলেন, সাংবাদিকদের অবশ্যই তথ্য দেবে। আমি কথা বলছি। আপনাদের তথ্য দেবে। এর দেড় ঘন্টা পার হলেও সাংবাদিকদের কোন তথ্য না দেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।