
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ করার ৫ দিন পরেই কার্পেটিং উঠে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের আমতলা ব্রীজ হতে পারভবানীপুর আল হেরা মসজিদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ গত ৩-৪দিন হলো সমাপ্ত হয়েছে। কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় রাস্তার বিভিন্ন জায়গা থেকে কার্পেটিং উঠে গেছে যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী আল আমিন
জানান, রাস্তাটি নির্মাণের শুরু হতেই নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা উপজেলার প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। এমনকি কার্পেটিং খুবই পাতলা করা হয়েছে। রাস্তাটিতে বালির পরিবর্তে মাটিমিশ্রিত বিটবালি ব্যবহার, নিম্নমানের খোয়ার ব্যবহার হলেও দেখার কেউ ছিল না। মেহেদী, রাশেদ, ইয়াসিন সহ আরো একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের তিন-চারদিনের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, নির্মাণের পরেই কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজের মান খারাপের কারণে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে, এর সাথে যারা জড়িত তিনি তাদের
শাস্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে খামারকান্দি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান মিলন বলেন, আমি শুনেছি রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। কেন কার্পেটিং উঠে গেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যেহেতু কাজটি তদারকি করছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর, তারাই ভাল বলতে পারবেন। রাস্তা নির্মাণ ও কাজের বিষয়ে আমাদেরকে কোন কিছুই জানানো হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, আমি বাইরে আছি তাই কোন তথ্য দিতে পারছি না। তবে কার্পেটিং উঠে যাবার বিষয়ে শুনেছি। নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অনিয়ামের কথা অস্বীকার করে জানান, খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন কার্পেটিং উঠে গেছে। অফিসে গিয়ে তথ্য দেবেন বললেও পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।