
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি বাজারে সিজান ট্রেডার্স নামক দোকান মালিক ভুল ঔষধ দেওয়ার কারণে ৪০ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষক মো. পুটু মিয়া এবং তার পরিবারের দাবি, দোকানদার শফিক এবং তার ছেলে মো. সিজান হোসেনের ভুলের কারণে তারা এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্থানীয়রা দাবি করেন, দোকানদারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের নজর রাখা যাতে এমনভাবে আর কোন কৃষক ক্ষতি না হয়।
ভুক্তভোগী খামারকান্দি ইউনিযনের বেলতলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে কৃষক মো. পুটু মিয়া জানান, গত ২৫ মার্চ তিনি খামারকান্দি বাজারের সিজান ট্রেডার্স থেকে করচি (ঘাস) নিধনের ঔষধ চান। এ সময় দোকানদার শফিকের ছেলে সিজান তাকে ভুল করে অন্য ধরনের ঔষধ সরবরাহ করেন। ধানক্ষেতে সেই ঔষধ প্রয়োগের পর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ধানগুলো মারা যেতে শুরু করে।
এ বিষয়ে পুটু মিয়া দোকানের মালিক শফিকের কাছে অভিযোগ জানালে, তিনি নতুন ঔষধ দিতে বলেন। ঈদের ২ দিন পর নতুন ঔষধ দেয়ার পরও ধানক্ষেতের অবস্থা পরিবর্তিত হয়নি এবং পুরো জমির ধান শেষ হয়ে যায়। এতে কৃষক পরিবারে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে, কারণ এই ধান দিয়ে তাদের সংসার চলে।
পুটু মিয়া বলেন, “এই জমির ধান দিয়েই আমার সংসার চলে। এভাবে আমার ফসল নষ্ট হয়ে গেলে আমি কি করে সংসার চালাবো? আমাকে ঋণের বোঝা টানতে হবে। দোকানদার শফিক বিভিন্ন অযুহাত দেখাচ্ছেন, এবং বসে আলোচনা করতে চাচ্ছেন না।”
অপরদিকে, সিজান ট্রেডাসের মালিক শফিকের সঙ্গে মোবাইলে বিষয়টি জানতে চাইলে, ব্যস্তাতা দেখিয়ে মোবাইলের কল কেটে দেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, দোকানদারের উচিত এই ক্ষতির জন্য দায়ভার নেওয়া এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পায়নি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে