বগুড়া সংবাদ : মৎস্য উৎপাদনে পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মৎস্য চাষী ও ব্যবসায়ীদের এখন দুরাবস্থা। এই ব্যবসার সাথে জড়িত প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ী এখন বেকার হয়ে পড়েছে। আদমদীঘি উপজেলা সদরের পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন ৫৭ শতক জায়গায় ১৯৯০ সালে এই এলাকার কিছু বেকার যুবকরা ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি গঠন করে একটি পোনা বাজার প্রতিষ্ঠা করে। হাঁটিহাঁটি পা পা করে বাজারটি এক পর্যায়ে বৃহৎ আকারে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত এই পোনা বাজারে কয়েক লাখ টাকার পোনা বেচাকেনা হতো। বর্তমানে এই বাজারে পোনা মাছ আমদানী নেই বললেই চলে। এতে করে ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ী ও চাষী বেকার হয়ে পড়েছে।
ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৮০ টি হ্যাচারী রয়েছে। এসব হ্যাচারীগুলোতে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, গ্রাসকার্প, বিগহেড, থাইসরপুটি, সরপুটি, জাপানি, মিররকার্প, মনোসেক্স তেলাপিয়া, তারাবাইন, মাগুর, বিগহেড মাগুর, কৈ, দেশি বিদেশি শিং, পাঙ্গাস, চিতল, আঁইড়, গোলসা, ট্যাংরা, পাবদা ইত্যাদি দেশি ও বিদেশী মাছের রেণু পোনা উৎপাদন হয়। এসব উৎপাদিত রেনু পোনা মাছ এই বাজারেই বিক্রি হয়ে থাকে। এই পোনা মাছ বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে পোনা মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আদমদীঘি ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, দীঘদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় রেণু পোনা উৎপাদনে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড তাপদাহ সহ আবহাওয়া অনুকুলে না থাকার কারনে বাহির থেকে পাইকাররা পোনা মাছ ক্রয় করতে আসছে না। এতে করে পোনা ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।