বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ৭ টায় বগুড়ার সাতমাথাস্থ জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
বিকেল ৫ টায় উদীচী বগুড়া জেলা কার্যালয়ে ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায় এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লার সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজুর সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী কাক্কু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহনিয়াজ কবির খান পাপ্পু, কৃষক সমিতি বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, যুব ইউনিয়ন বগুড়ার সহ-সভাপতি মামুনুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশের গ্রামাঞ্চলে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সারা বছর কাজ, ন্যায্য মজুরি, চিকিৎসা, সন্তানের শিক্ষা থেকে এখনও গ্রামের এসব দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত। ক্ষেতমজুরদের সারাবছর কাজ থাকে না, সঠিক মজুরি পায় না, এমনকি এখনও তাদেরকে কম দামে আগাম শ্রম বিক্রি করতে হয়। এ সকল গরিব-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি না ফুটাতে পারলে স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে না। অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা ও গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করতে হবে। ক্ষেতমজুর সমিতিকে শক্তিশালী করে এ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
ক্ষেতমজুর সমিতির দীর্ঘ অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সংগঠনের ১১জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, “শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষেতমজুর সমিতির লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
আলোচনা সভা থেকে বক্তারা অবিলম্বে পল্লী রেশনিং চালু, ষাটোর্ধ্ব মজুরদের জমা বিহীন পেনশন চালু, সারা বছর কাজ ও ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা, গ্রামীণ বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের লুটপাট বন্ধ করার দাবি জানান।