
শেরপুর (বগুড়া) : বগুড়ার শেরপুরের পৌর শহরের ধুনট রোড মোড়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তার মুখে মাটি ও বালু ফেলে বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করলেও সেদিকে দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি যান মালিক সমিতির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, শেরপুর ধুনট মোড়ের উত্তরপাশ থেকে প্রোগ্রেসিভ স্কুল পর্যন্ত বাইপাস রাস্তাটি ব্যক্তিগত মারামারিকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়ায় জনসাধারণ, রাস্তার পাশে অবস্থিত দোকান, ব্যাংকের এটিএম বুথ, ব্যবসায়ী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরমদুর্ভোগে পড়েছেন। এ বিষয়ে শেরপুর পৌর প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও রাস্তা ফাঁকা করতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ওই রাস্তার পাশে মই রাখাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছনির লোকজনদের সাথে বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের মারামারি হয়। এ ঘটনার পরপরই ওই রাস্তার ওপর বালু ফেলা হয়। ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন জনসাধারণের ব্যবহৃত সরকারি পৌর রাস্তাটি বাস-ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য ইজারা নেয়া সম্পত্তি বলে দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে দেয় তারা। প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ বাইপাস সড়কটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চরমদুর্ভোগে পড়েছেন।
প্রোগ্রেসিভ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ধুনট রোড মোড় থেকে ওই রাস্তা দিয়ে সহজেই স্কুলে যাতায়াত করতেন। কিন্তু বালু দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক দিয়ে এখন স্কুলে আসতে হচ্ছে। এছাড়াও বাইপাস রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় মহাসড়কে সব সময় যানজট লেগে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া ওই রাস্তার পাশে দুই ব্যাংকের এটি এম বুথ রয়েছে। রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ওই ব্যাংক দুটির গ্রাহকরা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনি, তিতি মুহিদসহ অনেকে বলেন, আমরা যুগযুগ ধরে এই বাইপাস রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। সিএস নকশায় ২৪১৭ দাগের এই সড়ক দখল করে সেখানে ট্রাক রেখে, বালু ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করায় জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকার মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েছেন। অপরদিকে রাস্তার উত্তর পশ্চিমাংশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিক প্রায় পাঁচ ফুট রাস্তার ইট তুলে দখলের চেষ্টা করলে পৌর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক নিষেধ করায় আপাতত কাজ বন্ধ আছে। তবে যে কোন সময় সেটি দখল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। রাস্তার ওপর স্তুপকৃত বালু ও ট্রাক অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য রাস্তা উম্মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।