সর্বশেষ সংবাদ ::

চরম উৎকণ্ঠা আর হতাশায় পরিবার রাণীনগরে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি ৭দিনেও

চরম উৎকণ্ঠা আর হতাশায় পরিবার রাণীনগরে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি ৭দিনেও

বগুড়া সংবাদ: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের শাহ জামাল হোসেনের ছেলে সাজিত হোসেন (১৩) নিখোঁজের এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

গত ১ডিসেম্বর অটো চার্জার ভ্যান নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাজিত। ফলে চরম উৎকণ্ঠা আর হতাশায় রয়েছে সাজিতের পরিবার।
সাজিতের বাবা শাহ জামাল জানান,গত ১ডিসেম্বর সকালে অটো চার্জার ভ্যান নিয়ে চাচা বেলাল হোসেনের ধান বিক্রি করতে উপজেলার আবাদপুকুর হাটে যায় সাজিত। এর পর ধান নেমে দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে মাঝ রাস্তায় এসে আবারো দুইজন যাত্রী নিয়ে আবাদপুকুর যায়। এর পর থেকে সাজিত নিখোঁজ হয়।
এঘটনায় তিন দিনেও সন্ধান করতে নাপারায় গত ৩ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন তিনি।
শাহ জামাল আরো জানান,তার ছেলে অনেকটায় প্রতিবন্ধী। তার হাতের দুই আঙ্গুল কাটা রয়েছে এবং বুকে ক্ষত চিহ্নি রয়েছে। গত সাত দিনেও তার সন্ধান না পাওয়ায় চরম উৎকণ্ঠা আর হতাশায় পরেছেন পরিবারের সবাই।
তিনি আরো জানান,পরিবারে কারো সাথে কোন কলহ নেই সাজিতের। কিন্তু কিভাবে সাজিত নিখোঁজ হলো এব্যাপারে কোন ধারনা দিতে পারেননি তিনি।
সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মানিক হোসেন জানান,সাজিতের পারিবারিক কোন কলহ আছে কিনা বা পরিবারের লোকজনের সাথে মনমালিন্যের কারনে বাড়ী থেকে চলে গেছে কিনা এমন বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন,যদি অপহরণকারীরা তাকে আটক রাখে তাহলে অবশ্যই সাজিতের পরিবারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতো। আবার ভ্যান ছিনতাই করে তাকে দুরে কোথাও ফেলে গেলে সাজিত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতো। কিন্তু এখন পর্যন্ত এরকম কোন নমুনা পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে, সাজিতের সন্ধানে তার ছবিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুতই তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

Check Also

বগুড়ার গাবতলীতে বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিটে অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় পরিবারকে নগদ টাকা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ সহযোগিতা করেন জেলা বিএনপি’র মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম।

বগুড়া সংবাদ (জাহাঙ্গীর আলম লাকি গাবতলী বগুড়া)  :গত সোমবার বগুড়ার গাবতলীতে উন্চুরখি টোন পাড়া গ্রামের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *