বগুড়া সংবাদ :বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কে জড়িয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আপনারা আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কর্মকান্ড নিয়ে অবগত আছেন। বিগত সরকারের সময় আমাকে ৬৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। মামলার কারনে গত ১৫ বছর কখনও জেলখানায় আবার কখনও পলাতক জীবন যাপন করতে হয়েছে। এর মধ্যেই গত ২২ সালে অনুষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পেরেছি ভোটার এবং আপনাদের ভাল সহযোগিতার কারনে। আমি দৃঢ় ভাষায় বলতে চাই রাজনৈতিক কারনে আমাকে অনেকেই অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু আমার কর্মকান্ডে সব সময় স্বাচ্ছতার কারনেই আমাকে ৮ নং ওয়ার্ডবাসী পরপর দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। আপনারা সব সম আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভুল ত্রæটির উর্দ্ধে কেউ না, আমার কাজেও ভুল হতে পারে। তবে তা অনিচ্ছাকৃত। আপনারা আমার কোন কাজে ভুল ধরে দিলে আমি খুশি হবো। সাংবাদিক সমাজের দর্পন। সমাজ গঠনের সাংবাদিকদের ভ‚মিকা অপরিসীম। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে মানুষ সত্য ঘটনা জানতে পারে। আপনারা জানেন গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বগুড়ার বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বগুড়া ভায়াবেটিক সমিতির সদস্য, বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করে আসছি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত আছি। বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। ফলে সেখানে নেতৃত্ব শুন্যতার পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনা ব্যাহত হতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে গত তারিখে সাধারন মালিকদের বৈঠকে সর্বসম্মতি ক্রমে আমাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের কাজ গুলো পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ মালিকদের এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী শ্রম অধিদপ্তর অনুমোদন দেন। এরপর থেকে আমি স্বচ্ছতার সাথে সকলের সহযোগিতায় সংগঠন পরিচালনা করে আসছি। অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমার যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনাদের এক সহকর্মী দৈনিক পত্রিকায় আবার কখনও অনলাইনে
লেখনির মাধ্যমে আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে একতরফা ভাবে বাস মিনিবাস কোচ পরিবহন মালিক সমিতি নিয়ে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি করছে।
২৬ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “বগুড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম কেন্দ্র উ যেমন আওয়ামী সন্ত্রাসী প্রশ্ন নিচ্ছেন জামায়াত নেতা এরশাদুল বারী এরশাদ” শিরোনামে একটি সণবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটিতে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। আজকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের অবগতির জন্য প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে বলতে চাই- বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ পরিবহন মালিক সমিতিতে কোন সন্ত্রাসী নেই। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা এই সংগঠনের সদস্য। তাদের সামাজিক মান মর্যাদা রয়েছে। গঠনতন্ত্র এবং সরকারী বিধি বিধান অনুযায়ী আমাদের সংগঠন পরিচালিত হয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী কোন জেলার বাস চলাচলের রুট চালু করতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলার মালিক সমিতির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে অনুমতি সাপেক্ষে রুট চালু হয়ে থাকে। এরপর জেলায় জেলায় টিকিট কাউন্টার বগুড়ার ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালে বগুড়া-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচলের জন্য শান্ত পরিবহনের একটি কাউন্টার খোলা হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোড পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টার্মিনাল সেক্রেটারী মোঃ জাহেদুর রহমান যাদু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও টার্মিনাল সেক্রেটারী সামিউল ইসলাম রতন, কার্যনির্বাহী সদস্য ও রুট সেক্রেটারী মোঃ সুমন প্রমানিকসহ বগুড়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন রানা, ক্রীড়া সম্পাদক আজাদ, ঠনঠনিয়ার সকল কাউন্টারের প্রতিনিধিগনের উপস্থিতিতে টার্মিনাল অভ্যন্তরে শাখা অফিসে শান্ত পরিবহন এর ম্যানেজার উত্তম কুমারকে ডেকে পাঠানো হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বগুড়া মালিক সমিতির সাথে আলোচনা কিংবা কোন অনুমতি নিয়ে বগুড়া-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচল এবং কাউন্টার চালু করা হয়েছে কি না? ম্যানেজার উত্তম কুমার এবিষয়ে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনা। তখন ম্যানেজার নিজে থেকেই বলেন, অনুমতির কাজ না পাওয়া পর্যন্ত আমি কাউন্টার খুলবোনা। এরপর তিনি নিজে থেকে কাউন্টার বন্ধ রাখেন। তাকে কোন ভয়ভীতি দেখানো কিংবা মালিক সমিতির কোন নেতা নিজ হাতে কাউন্টারের সাইনবোর্ড খুলতে যাননি। এ ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে ইনকিলাব এর সংবাদদাতা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ ধরনের মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন বন্ধ না হলে আমরা সংশ্লি ষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সাংগঠনিক ভাবে চিন্তা ভাবনা করবো। আপনারা জানেন, বগুড়ার পরিবহন সেক্টরে এক সময় নানা ধরনের অনিয়ম এবং অস্থিরতা বিরাজ করছিল। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সকলের সহযোগিতা নিয়ে অনিয়ম দূর করে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে সংগঠনের কোন সদস্য অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারেনি। আমার কাজে ভুল হলে অথবা কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের প্রমান থাকলে তা অবশ্যই তুলতে ধরতে অনুরোধ করছি। তবে সংবাদ প্রচারের আগে তার সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ করছি। বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতি নিয়ে দৈনিক ইনকিলার পত্রিকার যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে। পাশাপাশি ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই, এধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের কারনে পত্রিকার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আপনারা সত্য উদ্ঘাটন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কতিপয় সংবাদ কর্মীর মিথ্যা সংবাদের কারনে সমাজে সাংবাদিক সম্পর্কে ভুল ধারনার সৃষ্টি হচ্ছে। একারনে সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ এধরনের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আপনারাও পদক্ষেপ নিবেন। তাহলে সমাজ উপকৃত হবে, সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা আরে বাড়বে।