বগুড়া সংবাদ : দীর্ঘ ৩০ বছরের দখলীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করে পাকা ঘর ভেঙ্গে নতুন অবকাঠামো নির্মানের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গাবতলী উপজেলার রামেশ^রপুর গ্রামের
অবসরপ্রাপ্ত সমবায় অফিসার এ কে এম নজমুল হুদা। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ০৬/০৯/১৯৯৫ ইং তারিখে নেহাজ উদ্দিন জনৈক জোবেদা বেগমের নিকট থেকে ৭৯৭৯ নং একই তারিখে দেলোয়ারা বেগম ৭৯৮৪ নম্বর কবলা দলিল মূলে (২০+০৪) ২৪ শতক জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের পর থেকে নিঃশর্তভাবে দখল ভোগ করিতে থাকা অবস্থায় সর্ব শেষ মাঠ জরিপের সময় আমাদের নামে মাঠ পর্চা (এস.এ খতিয়ান প্রস্তুত হইয়া চূড়ান্ত রূপে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। দীর্ঘ
২৯ বৎসর পর দাতা জোবেদা বেগমের সতীনের ছেলে মোহাম্মদ আলী কালু, পিতা-মৃত জোনাব আলী এবং দাতা মেরিনার ছেলে ফেরদৌস, পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, উভয়ের সাং-রামেশ্বরপুর তেজো পাড়া, এর নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক উক্ত জমির, অংশ পাবে মর্মে দাবী করে রাস্তা সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মোজাফফর ও লিটন সাকিদারের পাকা দোকান ভাঙতে থাকলে আমরা বাধা প্রদান করি। তারা আমাদের বাধা উপেক্ষা করে দোকান ঘর ভাঙতে থাকলে ২৪/১০/২০২৪ ইং তারিখে গাবতলী উপজেলা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করে অভিযোগ করি এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। ২৪/১০/২০২৪ ইং
তারিখে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেন। এরপরও দোকান ঘর ভাঙ্গা অব্যাহত থাকিলে ২৬/১০/২০২৪ ইং তারিখে লিখিতভাবে ১২৫১ নং জিডি দায়ের করি। এরপর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এরপর একাধিক বার তার সাথে দেখা করিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দোকান ঘর ভাঙ্গা বন্ধ করার আশ্বাস প্রদান করেন। ০৫/১১/২০২৪ ইং তারিখে উভয় পক্ষকে উকিল সহ থানায় ডাকেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাগজপত্র দেখার জন্য সহকারী সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দিয়ে দুর্গাহাটা গমন করেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে কাগজপত্র পরীক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে উভয় পক্ষকে বিজ্ঞ উকিলের নিকট থেকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর মোহাম্মদ আলী গং কোন কাগজপত্র জমা না দিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মোবাইল ফোনে এবং
সাক্ষাতে বিষয়টি অবহিত করা হয়। প্রতিবারই তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেও নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট আদালতে ০৪/১১/২০২৪ ইং তারিখে ৬২৭পি/গাব নং এবং ০৬/১১/২০২৪ ইং তারিখে ৬৩১পি/গাব নং মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত থেকে বিবাদী মোহাম্মদ আলী গং বরাবর আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারায় নোটিশ জারি করা হয় এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুলিপি প্রদান করা হয়। নোটিশ পেয়ে তারা দিন
রাত নির্মাণ কাজ চালাইতে থাকলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর যোগাযোগ করিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কবলা দলিল মূলে জমি ক্রয় করিয়া দখল ভোগ করাকালে কোন প্রমানক রেকর্ড কিংবা বণ্টন নামা ছাড়া শত শত লোকের সামনে রাম্বেশ্বরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ওহাব এর ছত্র ছায়ায় অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ কাজ করলেও এলাকাবাসী নিরব দর্শক হয়ে শুধু দেখছে আর আফসোস করছে। কোন প্রমানক রেকর্ড পত্র ছাড়া ২৯ বৎসরের
দখলীয় পাকা দোকান ভেঙ্গে ফেলা স্বত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দারস্ত হয়ে কোন ব্যবস্থা/প্রতিকার না পেয়ে আজ আপনাদের মাধ্যমে বহুল প্রচারের জন্য সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থা করেছি। আপনাদের কেহ আমাদের দঃখ বেদনা উপলব্ধি করে নিজ নিজ পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা করুন। মানুষ জানুক ৫ই আগস্ট ২য় স্বাধীনতা লাভের পর দেশবাসী কেমন সুখে আছে। আমরা শিক্ষিত ও অসহায় মানুষ নিজ দখলীয় জমি সন্ত্রাসীগণ কর্তৃক অবৈধভাবেদখলের চিত্র দেখছি আর চোখের জল ফেলছি। নালিশী সম্পত্তির বিবরন: সিএস ১২৮ এম মার সার্বিয়ান ন ৪২ সাবেক দাগ নং হাল দাগ নং ৯০৭০।”
Check Also
সোনাতলায় তিনদিন ব্যাপি পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বগুড়া সংবাদ : কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে, সোনাতলা …