বগুড়া সংবাদ: ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে শনিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামের মৃত জমশেদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেওয়া। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমি একজন অসহায় বিধবা নারী। আমার কোন সন্তান না থাকায় আমার স্বামীর বড় ভাই মৃত কিতাব আলীর ছেলে হায়দার আলী ও তার ছেলেরা যথাক্রমে আবু বক্কর সিদ্দিক, বেলাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন ও আলম একজোট হয়ে আমার স্বামীর দেয়া জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দখল করতে না পেরে তারা আমার বিরুদ্ধে পরপর ৪টি মামলা দায়ের করে। তাদের অত্যাচারে আমি বর্তমানে স্বামীর ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে আছি। ১৯৭৫ সালে বিবাহের সময় আমার স্বামী আমাকে আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের চেঁচুয়া গ্রামের চেঁচয়া মৌজায় সাবেক দাগ (১৭৪, ৩৫০, ১৮০, ২৩৯, ১৫৪) ও হাল দাগে (৩৪, ৬১৩, ২৪৪, ৬৬০, ১৫৪) মোট পৌনে ৩৯ শতাংশ জমি আমার নামে দলিল করে দেন। এরপর আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার কথা বলে তার ভাতিজা ও নাতিরা কৌশলে তার কাছ থেকে ২০০৯ সালে ২৪৪ শতাংশ জমি তাদের নামে লিখে নেয়। আমার স্বামী ২০১০ সালে আমাকে আরও সাড়ে ১১ শতাংশ জমি আমাকে দলিল করে দেন। ঐ বছরের মার্চ মাসে আমার স্বামী মারা গেলে তার কোন সন্তান না থাকায় তার ভাতিজা ও নাতিরা জোরপূর্বক আমার স্বামীর বাড়ী থেকে আমাকে বের করে দেয় এবং আমার ঘরের তালা ভেঙ্গে যাবতীয় মালামাল ও গরু মাছুরসহ যাবতীয় সম্পদ লুট করে নেয়। তখন থেকে আমি অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে আছি। এ ব্যাপারে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসী এসে সালিশ দরবার
করেন। পরবর্তীতে তারা জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করে। জমি দখল করতে না পেরে তারা আমার বিরুদ্ধে আদালতে ৪টি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে ঐসব মামলায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এদিকে আমাকে দেয়া জমি থেকে ১০ শতাংশ জমি তারা দখল করে নিয়েছে এবং বাকি জমিগুলো দখল করার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া আমার স্বামীর মাদ্রাসায় দেয়া সোয়া ৮ শতাংশ জমিও তারা জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছে। এদিকে আমার কোন সন্তান না থাকায় আমি আমার স্বামীর ভিটেমাটিতে ঘর করবো তাও করতে দিচ্ছে না তারা। আমি নিরুপায় হয়ে অন্যের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমার নামে থাকা সমস্ত জমি লিখে দিতে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এসব জমি দখল করতে তারা আমাকে হত্যা করতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।
এ অবস্থায় তারা আমার জমি দখল করতে যে কোন সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার প্রাণ বাঁচাতে ও স্বামীর দেয়া শেষ সম্বল রক্ষা করতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।”
Check Also
বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদকের সাংবাদিক সম্মেলন
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু সোমবার …