সর্বশেষ সংবাদ ::

ন্যায় বিচারের দাবীতে নওমুসলিম ফারুক মাহফুজের সাংবাদিক সম্মেলন

ন্যায় বিচারের দাবীতে নওমুসলিম ফারুক
মাহফুজের সাংবাদিক সম্মেলন

বগুড়া সংবাদ: হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর আপন মামাকে হত্যার প্রতিবাদ করায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবী করে রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নওমুসলিম মুহাম্মদ ফারুক মাহফুজ আনাম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “জন্মসূত্রে আমি হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলাম। ইসলাম শান্তির ধর্ম হওয়ার কারনে ২৫/০১/২০০৫ইং তারিখে মহাখালি আরজত পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে কালেমা তৈয়্যেবা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি এবং এফিডেফিট করে নাম পরিবর্তন করি। তারপর আমার ইসলাম গ্রহনের পড়ে আমাকে আমার পরিবার ও হিন্দু সমাজ থেকে বিতাড়িত করে। তখন আমার বাড়ীর পাশে সম্পর্কে এক মামা তার বাসায় আমাকে আশ্রয় দেয় এবং ঢাকায় চাকরি যোগাড় করে দেয়। আমি তারপর ইসলাম ধর্ম পালন করতে থাকি এবং জীবিকার জন্য কর্মে যোগদান করি। এভাবে পনেরো বৎসর চলে যায় হঠাৎ করে গত ০৫/০৬/২০২০ইং তারিখে আমার সেই মসলমান মামাকে তার অফিসে হত্যা করে গামছা দিয়ে জানালার সাথে বেধে রেখে বলা হয় সে আত্মহত্যা করেছে। আমার সেই মুসলমান মামা বগুড়া সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বরত ছিল কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজু মারোয়ারী মৃত্যুবরন করার পর তার ছোট ছেলে বিজয় কুমার বিহানী তাকে হত্যা করে জানালার সাথে গামছা দিয়ে বেধে রেখে বলে সে আত্মহত্যা করেছে। তখন আমি এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তারপর প্রতিবাদ করার কারনে বিজয় কুমার বিহানী বগুড়ার তৎকালীন দারিত্বরত সার্কেল এসপি সনাতন চক্রবর্তীকে দিয়ে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে। তারপর ঐ এলাকার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুন কুমার চক্রবর্তী এবং বগুড়ার যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার * লিটন আমার মা ও মামিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, মুসলমান হওয়ার এফিডেফিট কপি সহ আরো বিভিন্ন সার্টিফিকেট আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয় এবং আমাকে আবার হিন্দু হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি তাদের কথায় রাজি না হওয়ার কারনে আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমার প্রতিষ্ঠান “মা মার্কেটিং” এর শোরুম ভাংচুর ও প্রায় দশ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় ও ২৫/০৮/২০২০ইং তারিখে প্রায় ২০-২৫ জন মিলে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেধে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে রড, স্টীলের পাইপ, বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারধর করে। এতে আমার শরীরের অনেক ক্ষতি হয় বিশেষ করে আমার বাম পায়ের হাড্ডি ভেঙ্গে বের হয়ে যায়। পরে বগুড়া নারুলী পুলিশ ফাড়ির পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু তারপরেও বিজয় কুমার বিহনী ও পরিমল চন্দ্র দাস তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে হুমকি দেয় যে আমি যদি কোন মামালা করি তাহলে আমাকে মেরে ফেলা হবে। তাই আমি তখন কোন মামলা করতে পারিনি এবং ৫ দিন পড়ে আমি হাসপাতাল থেকে গোপনে চলে আসি ও নিজের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। অর্থের অভাবে আমার চিকিৎসাও ঠিকমত করতে পানি নাই কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি আবার আস্তে আস্তে হাঁটা শুরু করি। এরপর আমি ঢাকা গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধামন্ত্রী বরাবর বিচার চাহিয়া ১০/০২/২০২১ইং তারিখে একটি দরখাস্ত দেই। তারপর তৎকালীন এসএসএফ বাহিনীর প্রধান বগুড়ার এসপি আশরাফ ভ‚ঁইয়ার কাছে আমাকে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই মোতাবেক আমি এসপি সাহেবের সাথে দেখা করলে তিনি আমাকে বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ন সাহেবের কাছে পাঠায়ে দেন। তারপর হুমায়ন সাহেব ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুন কুমার চক্রবর্তীকে থানায় ডাকা হয় কিন্তু কোন বিচার না করেই উল্টো আমাকে বিভিন্ন অভিযোগে আমাকে হাজতে তোলার চেষ্টা করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সেইদিন জানে বেচে যাই। তারপর অনেক অনুরোধের পরে ওসি হুমায়ন সাহেব তরুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে আমার ভোটার আইডি কার্ড ও মুসলামান হবার দলিল এফিডেফিট কপি নিয়ে দেয়। কিন্তু আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও বাম পা ভাঙ্গার কোন ক্ষতিপূরন পাই নাই। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আমি আমার পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য তরুন ও পরিমল এর সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু তারা কোন ভ্রæক্ষেপই করে না। তারপর এক পর্যায়ে তরুন চক্রবর্তী স্বপন চক্রবর্তী, জয়ন্ত চক্রবর্তী (বেবু), তীর্থ চক্রবর্তী, তপন চক্রবর্তী ও প্রায় ২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাসায় হামলা করে বাসা ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমার বাসা থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং সবাই মিলে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এতে আমার ডান পা ও বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং মাথায় ফেটে যাওয়ার কারনে ৬ টি সেলাই দেওয়া হয়। আর আমার ৫টি দাঁত পড়ে যায়। এখন আমার অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে। আমার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আমি কোন চিকিৎসা করাতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমি ন্যায় বিচার চাই।”

Check Also

শাজাহানপুরে কৃষকলীগ নেতা পিস্তলসহ গ্রেপ্তার

বগুড়া সংবাদ :  বগুড়ার শাজাহানপুরে রায়হান আলী (৩৩) নামে এক কৃষকলীগ নেতাকে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *