

সোনাতলায় তুহিন বাদশা হত্যা মামলার
আসামীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি
বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার সোনাতলায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় তুহিন বাদশা (৩০) নামে ব্যক্তি নিহত ঘটনা একমাস পার হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার তেকানী চুকাই নগর ইউনিয়নের মহব্বতেরপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ২ সন্তানের জনক তুহিন বাদশা। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা ওয়াপদা বাঁধের ওপর একটি ষ্টলের সামনে বসে চা পান করছিল তুহিন বাদশা। এ সময় এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী আকস্মিক ভাবে তুহিন বাদশাকে লাঠি,রড ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে মহাখালী মেট্টোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আবার ১৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তুহিন বাদশার বাবা বিল্লাল হোসেন ঘটনায় জড়িত ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সোনাতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২৪ বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে তুহিন বাদশা মারা যায়। তার মৃত্যুর সংবাদে বাড়িতে কান্নার আহাজারি শুরু হয়। কান্নাকাটি করে তার দুই শিশু সন্তানও। পরদিন শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে লাশ বাড়িতে আনা হয়। এ সময় নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে যায়। এদিকে তুহিন বাদশার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আসামীরা গ্রাম ছাড়া হয়। ঘটনা প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয়রা বলেছেন তুহিন বাদশা একজন ভালো মানুষ ছিল। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত হয়নি। তুহিন বাদশা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দেখতে চাই। প্রশাসনের কাছে এমনটি দাবী করেছেন তুহিন বাদশার স্ত্রী কাজল বেগম,মা-বাবা ও স্বজনরা। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী বলেছেন থানায় তুহিন বাদশা হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি আমরা শিগগির আসামীদের গ্রেফতার করবো।