বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান এবং বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং- ২ এর বিচারক নুর মোঃ শাহরিয়ার কবিরসহ ৫ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্যে জানা গেছে,বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে চট্টগ্রামে নারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল নং- ৪ এর বিচারক হিসেবে এবং তদস্থলে নেত্রকোনাার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শাহজাহান কবিরকে বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বগুড়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামানকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে এবং তদস্থলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এএসএম তাসকিনুল হককে বগুড়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং- ২ এর বিচারক নুর মোঃ শাহরিয়ার কবিরকে মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে এবং তদস্থলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং- ২ এর বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামানকে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং- ২ এর বিচারক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়াও অপর এক প্রজ্ঞাপনে বগুড়া হতে ২ জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করা হয়েছে এবং সহকারী জজসহ ৫ জন বিচারককে বগুড়ায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বগুড়া হতে বদলিকৃত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লাকে রাজশাহী এবং সঞ্চিতা ইসলামকে পাবনায় আদালতে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জ আদালত হতে বদলি করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আহসান হাবিব ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে লোকমান হাকিম, গাইবান্ধা হতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মেহেদী হাসান,চাঁপাইনবাগঞ্জ হতে সিনিয়র সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে মোঃ আবু কাহার, নওগাঁ হতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আফসান ইলাহী, নাটোর হতে শরমিন খাতুন, ও সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে আলরাম কাজীকে বগুড়ায় দেয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগ, বিচার শাখা-৩ এর প্রজ্ঞাপন মুলে রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে এই নিয়োগ/ বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামানকে প্রত্যাহারের দাবীতে বগুড়ার আদালতের কর্মচারীরা আদালত চত্বরে গত ২২ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ২৫ অক্টোবর এজলাসে তালা ঝুলিয়ে অর্ধ দিবস কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করে।