বগুড়া সংবাদ :বগুড়ার আদমদীঘিতে পরিনা বেগম (৩১) নামের গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় উপজেলার নিমাইদীঘি গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিনা বেগম নিমাইদীঘি গ্রামের শেখ ফরিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের নিমাইদীঘি গ্রামের শেখ ফরিদের স্ত্রী এক সন্তানের জননী পরিনা বেগম স্বামী স্ত্রী মিলে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে সাপ্তাহিক কিস্তির প্রায় ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে সংসার চালাতেন। তারা ঋণের টাকায় ইটের বাড়ি ও একটি অটো চার্জার কিনে প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতো। সম্প্রতি ঋণের চাপে অটোচার্জার বিক্রি করে ঋনের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও মোটা অংকের ঋনের বোঝা ছিল তাদের ঘাড়ে। ঋণের চাপে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে ঢাকায় যায় কাজের সন্ধানে। ঋণ পরিশোধ করার জন্য কিছুদিন পূর্বে পরিনা বেগম ও তার স্বামী ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে পরিনা বেগমের বোন আফরোজা বেগম জানান, পরিনা বেগমের উপর ঋন পরিশোধের চাপ বেশি হওয়ায় সে প্রায় আত্মগোপন করে থাকত। শুক্রবার রাতে পরিনা বেগম তার শয়ন ঘরে একাই রাত যাপন করে। পরদিন শনিবার সকালে তার স্বামীসহ স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া না পেয়ে তার বাড়িতে আসেন। বেলা ১০টায় প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় বাড়ির মেইন দরজা খুলে দেখেন পরিনা বেগম শয়ন ঘরের তালার তাল গাছের তীরের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে গতকাল শনিবার তার ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কমার জানান, ঋনের চাপে সে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা হচ্ছে। তবে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেকে পাঠানো হয়েছে।