বগুড়া সংবাদ : কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ও ছাত্র সমাজের মধ্যে চরম আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক সহিংসতায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুনের ঘটনায় পুলিশের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেকারণে মঙ্গলবার বগুড়ার বেশিরভাগ রাস্তায় দুপুর পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের দোকানপাট, অফিস-আদালত খুলেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে সব ধরনের যানবাহন। তবে সকাল থেকেই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শহরের সড়কে বিশেষ করে প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে শহরে আসা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের দায়িত্ব নিতে দেখা গেছে। সাতমাথায় বেশ কয়েকজন ছাত্র নিজ উদ্যোগে যানজট নিরসনে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করায় কোন যানজট বা সড়কে বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরাও স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রদের নির্দেশনা মেনে সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। কোন হয়রানি ছাড়াই ছাত্রদের এমন দায়িত্বশীল আচরণে মুগ্ধ শহরে আসা মানুষ। বিগত দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহন কিছুটা কম থাকলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করছেন সবাই।