বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন স্থান অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
এসময় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২ জন বগুড়া সদর ও একজন দুপচাঁচিয়া উপজেলার বলে জানা যায়।
সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার পরে বগুড়া সদর থানা ও দুপচাঁচিয়া থানায় হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া পুলিশ সুপার জাকির হাসান। নিহত পাঁচ জনের মধ্যে একজন মুনিরুল ইসলাম মনির (২২) বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীর কেদার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মুনিরুলের মারা যাওয়া খবর নিশ্চিত করে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। জিল্লুর (৪৫) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। দিনাজপুরের হিলির সেলিম (৪৫) সে বগুড়ার হরিগাড়ি এলাকায় বসবাস করতো। এবং অজ্ঞাত দুই জন।
এদিকে সংঘর্ষে আহত একজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে আসার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক হাসপাতালে উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ। এছাড়াও বগুড়ার সাতমাথায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সাতমাথাসহ এর আশপাশ।