
বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামে মারপিট, ভাঙচুর অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সবুজ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বগুড়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুপচাঁচিয়া থানা আমলী আদালতে একই গ্রামের মৃত মফেরের ছেলে মোখলেছার রহমান সহ ৫জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৩মে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী কইল গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে সবুজ মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করেন, গত ৭মে একই গ্রামের মৃত মফেরের ছেলে মোখলেছার রহমান বাদীর বসত ঘরের জানালার পার্শ্বে ময়লা আবর্জনা ফেলেন। এ বিষয়ে বাদী সবুজ মোখলেছের পরিবারকে নিষেধ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনা নিয়ে মিমাংসার জন্য গত ৮মে সন্ধ্যায় শালিস বৈঠক বসে বিষয়টি মিমাংসা হয়। মিমাংসা হলেও বিবাদী মোখলেছার রহমান ও তার লোকজন এ ঘটনার জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন রাতেই বাদীর বসতবাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে ভাঙচুর সহ সবুজ ও তার মা সেফালীকে মারপিট করে আহত করে এবং বাদীর স্ত্রী শিমলাকে শ্লীলতাহানী করে। সেই সাথে বাদীর ঘর থেকে বিবাদীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এতে তার প্রায় ৪লাখ ৫০হাজার টাকার ক্ষতি হয়। বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাদী সবুজ তার বাড়িতে আসলে বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র সহ বাদীকে বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয় ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। এতে প্রাণ ভয়ে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে সাময়িক আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।