
বগুড়া সংবাদ : র্যাব-১২ ও থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনাতলায় আলোচিত যুবদল নেতা রাশেদ (১৮) হত্যা মামলার পলাতক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। উপজেলার পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার সহযোগিরা ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স সোনাতলা উপজেলা কমিটির সভাপতি রাশেদকে গত ৭ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পেয়ে বেদম মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে রাশেদকে তার স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ফেব্রæয়ারি বিকেলে মারা যায়। নিহতের মা ওজেনা বেগম বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ১৭ ফেব্রæয়ারি সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহার নামীয় ১৯ নং আসামী মোঃ বাবুলকে (৪৩) গত সোমবার গভীর রাতে বগুড়ার আদমদিঘী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন থানা পুলিশ বাবুলকে জেলহাজতে পাঠায়। এ নিয়ে রাশেদ হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার হলো তিনজন। বাবুল পাকুল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত ভোদা আকন্দের ছেলে। থানার ওসি মিলাদুন নবী গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।