সর্বশেষ সংবাদ ::

পত্নীতলায় ঈদের ছুটিতেও নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

বগুড়া সংবাদ : ঈদের ছুটিতেও নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ২ টি “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র” এবং ৫ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়েছে দেশের বিভিন্ন সরকারি, আর্থিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলে যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর এর কোন প্রভাব পড়তে না পারে এজন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক পক্ষ থেকে ছুটি কালীন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সেই নির্দেশনা মোতাবেক নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম, সহকারী পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) শামীমা আক্তার এবং সহকারী পরিচালক (সিসি) ডাঃ মামুনাল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত ২৮ মার্চ থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, গর্ভকালীন সেবা, প্রসবসেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা অব্যাহত রয়েছে।
ছুটির সময়েও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় অত্রাঞ্চ‌লের সেবাগ্রহীতারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। অনেকে জানান, জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এই উদ্যোগ তাদের স্বস্তি দিয়েছে। সেবাগ্রহীতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানান, এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের এ ধরনের ত্যাগ ও নিষ্ঠা সাধারণ মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। যেখানে ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন, সেখানে এই সেবাকর্মীরা নিজেদের সময় উৎসর্গ করেছেন জনসেবায়। তাঁদের এ মহান দায়িত্ববোধ সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডাঃ মোহাঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, “গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের ছুটিতেও আমরা নিশ্চিত করেছি যেন কোনো মা বা শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের দল আন্তরিকভাবে কাজ করছে, যাতে প্রত্যেক সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, “সাধারণত ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন সেবা বন্ধ থাকে, কিন্তু গর্ভবতী মা, নবজাতক ও শিশুদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট, পরিবার কল্যাণ সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করেছি। আমাদের কর্মীরা দায়িত্ববোধ থেকে এ সেবা প্রদান করছেন।

Check Also

২২ এপ্রিল বগুড়ায় ‘ডিএসএ কাপ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট’ শুরু

বগুড়া সংবাদ : বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *