
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শাজাহানপুরে ফেসবুকে এক স্কুল ছাত্রের ছবি দিয়ে ব্যঙ্গাত্বক পোষ্ট করার প্রতিবাদ করায় কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক (রাজিব-আকরাম কমিটি) এবং বিএনপি পন্থি ঢাকাস্থ উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক শফিকুল ইসলাম নামের এক প্রভাবশালী নেতার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মামলা না করতে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পলিপালাশ গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র রিয়াম আহমেদের ছবি বিকৃত করে তৃতীয় লিঙ্গে (হিজড়া) রূপান্তরিত করে টিকটকে তৈরী করা একটি কনটেন্ট ডাউনলোড করে গত বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পলিপালাশ নবীণ সংঘ নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপে পোষ্ট দেন একই গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে সুমন আহমেদ (১৮)। এনিয়ে গ্রুপে অপমানিতবোধ হওয়ায় রিয়াম আহমেদের চাচা আব্দুল মোত্তালিব পোষ্ট ডিলেট করার জন্য সুমনকে অনুরোধ করে। কিন্তু তাৎক্ষনিক পোষ্ট ডিলেট না করে উল্টো আক্রমনাক্ত কথা বলা শুরু করে সুমন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় সুমন আহমেদ। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে আব্দুল মোত্তালিবের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করা হয়।
আব্দুল মোত্তালিব জানান, ফেসবুক গ্রুপে অপমানজনক পোষ্ট করায় তার ভাতিজা রিয়াম আহমেদ কান্নাকাটি শুরু করে। তাই পোষ্টটি গ্রুপ থেকে ডিলেট করার জন্য সুমনকে অনুরোধ করলে সে উল্টো আপত্তিকর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। এক পর্যায়ে সুমনের চাচা নিজেকে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা দাবী করা শফিকুল ইসলামের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে রাত ৯টার দিকে তার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমারিতে থাকা ৪৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তদন্ত করে যান। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এমতাবস্থায় বিএনপি নেতা শফিক ও তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পরিবারসহ নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান আব্দুল মোত্তালিব।
প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম জানান, তাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।