
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় ছাদ থেকে পড়ে যেয়ে নয় আত্মহত্যা করেছেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী অপর্ণা চক্রবর্তী। ওই ছাত্রীর লিখে যাওয়া চিরকুট থেকেই এমন সন্দেহ করছে পুলিশ। চিরকুটে লেখা আছে ‘মা ক্ষমা করো’ এই পৃথীবী থেকে আসি চলে যাচ্ছি আমি, পরপারে তোমার সাথে দেখা হবে। ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভাইকে বলো, চার বছর ধরে আমি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি’।
এ ঘটনায় মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন।
এর আগে, বুধবার রাতে শহরের জহুরুল নগর এলাকায় পাঁচতলা ভবনের নিচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় অপর্নাকে উদ্ধার করা হয়৷ পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া অপর্না জহুরুল নগর হাফিজার মোড় এস ইউ ঠাকুরবাড়ি এলাকার হিমাংশু চক্রবর্তীর মেয়ে ও নার্সিং কলেজ বগুড়া নামে বেসরকারি কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
পুলিশ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,অর্পিতা তাদের নিজের ৫ তলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই বাড়ির ৫ তলা বাড়ির ছাদটি রেলিং দিয়ে ঘেরা। তিনি একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর উঠে নিচে ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১২ টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, ময়না তদন্ত শেষে অপর্নার) মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।