
বগুড়া সংবাদ :সোনাতলায় নাজমুল হক প্রামানিক নামে এক ভূমিহীনের সরকার প্রদত্ত পত্তনী জমি জোরপূর্বক দখল করেছে প্রতিপক্ষের বাবলু সাকিদার-সহ তার লোকজন। এর প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন নাজমুল হক। উপজেলার ছোট বালুয়া (কারিগরপাড়া) গ্রামের ভূমিহীন নাজমুল হক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০০৮ সালে রশিদপুর মৌজার ৮০ শতাংশ জমি কবলা (পত্তন) নেন। তখন থেকে নাজমুল হক জমিটি ভোগদখল করে চাষাবাদ করে আসছেন। জমিটির বর্ণিত তফসিল হলো: মৌজা রশিদপুর, খতিয়ান নং ১,সাবেক দাগ ১৩৭১, বাটা দাগ ৭৭,হাল দাগ ৩২২১,জমির পরিমাণ ৮০ শতাংশ। ভূমিহীন নাজমুল হক জমিটি সরকারের কাছ থেকে কবলা বা পত্তন নেন। যার পত্তনী কেস নং ১৯৮(ীরর) ১৯৯৯-২০০০)। পত্তন নিয়ে খাজনা খারিজ করে জমিটি ভোগ-দখল করে আসছেন। এতে পার্শ্ববর্তী পাতিলাকুড়া গ্রামের মৃত হরমুজ সাকিদারের ছেলে বাবলু সাকিদার,জামালের ছেলে ছমছেল, আবুল হোসেনের ছেলে লোকমান ও ছামছুল মোল্লার ছেলে কাইয়ুম (কাউয়ুম)-সহ আরো অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে জোরপূর্বক নাজমুল হকের ওপর হামলা ও উক্ত জমি বেদখল করার চেষ্টা করে আসেন। এমনকি নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এমতাবস্থায় ওই জমি বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছিলেন। মামলা ৫ বছর চালানোর পর নাজমুল হক রায় পান ও বিবাদীরা আদালতে মুচলেকা দেন। এরপর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জমিতে সীমানা খুঁটি ও নিশানা স্থাপন করে নাজমুল হককে জমি দখল বুঝে দেন। দখল বুঝে পেয়েও বিবাদীরা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে নাজমুল হক কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে ওই জমিতে ইরিবোরো ধানের চারা রোপন করেন। এর কয়েকদিন পর বিবাদীরা জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে নাজমুল হকের রোপনকৃত ধানের চারা তুলে ফেলে সেখানে বিবাদীরা ধানের চারা রোপন করেন। এতে প্রায় বাষট্টি হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। একদিকে জমিতে ধানেরচারা রোপন করা বাবদ আর্থিক ক্ষতি, অন্যদিকে জমিটি বেদখল করেছে বিবাদীরা। এর প্রতিকার বা ন্যায় বিচার পেতে নাজমুল হক প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি,এসিল্যান্ড ও সেনাবাহিনীর সারিয়াকান্দি ক্যাম্পে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক ও থানার এসআই (তদন্তকারী কর্মকর্তা) খোরশেদ আলম অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন।