
বগুড়া সংবাদ : সোনাতলা উপজেলার বড়বালুয়া মৌজায় কবলাকৃত জমিতে রোপনকৃত ইরি ধানের চারা উপড়ে ফেলে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রশিদপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী সরকার। অভিযোগকারী বলেন আমার ও আমার স্ত্রী সফুরা ওয়াজেদ ২০০০ সালে বড়বালুয়া মৌজার ৭৫ নং খতিয়ানের সাবেক দাগ ৮১৪ ও হালদাগ ১৫৭৯ থেকে ৩৮ শতাংশ জমি বড়বালুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম,মৃত গোফ্ফার শেখের ছেলে ছলিম উদ্দিন ও আব্দুস ছালাম-এর কাছ থেকে কবলা করে তখন থেকে ভোগদখল করে আসছি। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের মৃত ইছাহাক আলী বাটুর ছেলে ছানোয়ার হোসেন আমার কবলাকৃত জমিটি তারা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। এক পর্যায়ে ছলিম উদ্দিন ও আব্দুস ছালাম জেলা জজ আদালতে ১০৫/২০৮ বন্টন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া সত্বেও গত ৮ ফেব্রæয়ারি-২০২৫ উক্ত তফসিলভূক্ত জমিটি সমজাতাইড় গ্রামের বর্গাদার দুলা মিয়াকে চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি বালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি অফিসে সালিশ বৈঠক হয়। যেহেতু তফসিলভূক্ত জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে সেহেতু সালিশদাররা বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে যার ভোগ দখলে আছে, তাকে ওই জমিতে চাষাবাদ করতে বলেন। সেই মোতাবেক আমি গত ১৬ ফেব্রæয়ারি তফসিলভূক্ত জমিতে বর্গাদারের মাধ্যমে ইরি ধানের চারা রোপন করি। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া সত্বেও এবং গ্রাম্য সালিশ অমান্য করে গত ১৮ ফেব্রæয়ারি দিনগত রাতে উক্ত জমিতে রোপনকৃত ধানের চারাগুলো উপড়ে ফেলে মৃত গোফ্ফারের ছেলেরাসহ অন্যরা। এতে আনুমানিক দশহাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার পরেও অভিযুক্তব্যক্তিরা অভিযোগকারী ও তার লোকজনকে তফসিলভূক্ত জমিতে না যাওয়া কিংবা চাষাবাদ না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকীসহ বড় ধরণের ক্ষতিসাধন করার ভয়ভীতি প্রদান করছে। এতে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে ওয়াজেদ আলী সরকার ও তার লোকজন। তাই নিরুপায় হয়ে গত ১৯ ফেব্রæয়ারি থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি।