বগুড়া সংবাদ : সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটি গঠন ও প্রধান শিক্ষককে পদে রাখা না রাখা নিয়ে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পক্ষ দু’টির মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জের ধরে গত ৭ ফেব্রæয়ারি বিকেলে রাসেদ মিয়া (৩০) দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় পৌঁছিলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এম.এ.হান্নান বাটালু ও তার লোকজন রাসেদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনাস্থল থেকে রাসেদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে মারা যায়। মৃত্যুর সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলের আপনজনরা বাটালুর ওষুধের দোকানে হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে। এদিকে নিহতের পরিবারে চলতে থাকে শোকের মাতম ও আহাজারি কান্না। রাসেদের বাবা সাইফুল ইসলাম জানান আমার ছেলে সহজ-সরল ও নিরপরাধ প্রকৃতির। তাকে আমাদের এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা অন্যায় ভাবে মারপিট করে হত্যা করেছে। আমার ছেলে রাসেদ মিয়ার হত্যাকারীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই,সঠিক বিচার চাই। রাসেদ মিয়া জিয়া সাইবার ফোর্সের সোনাতলা উপজেলা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা ছিলেন। রাসেদ হত্যার বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী নিশ্চিত হয়ে বলেছেন এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Bogra Sangbad সত্য সন্ধানে আমরা
