বগুড়া সংবাদ : কাহালুতে গভীর রাতে স্ত্রী শান্তনা বেগম (৩০)কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে রাতেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী হাতেম আলী (৩৫)। হাতেম আলী উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের লোহাজাল গ্রামে মৃত মোহাম্মাদ আলীর পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের নারহট্র সরদারপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় স্ত্রী শান্তনা বেগম এর পিতা উপজেলার লোহাজাল গ্রামের সাহেব আলী মন্ডল বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের লোহাজাল গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলীর পুত্র হাতেম আলীর সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের সাহেব আলী মন্ডলের মেয়ে শান্তনা বেগমের। তাদের ঘরের ২ টি ছেলে সন্তান রয়েছে। হাতেম আলী গত ২ বছর যাবত বিভিন্নভাবে ১৪/১৫ লক্ষ টাকা ধারদেনা করে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছিল। ধারদেনার কারনে হাতেম আলী গত ১ বছর যাবত পাবনায় গিয়ে মাছের হ্যাচারীতে চাকরি করছিল। স্ত্রীকে ভরণ পোষন না দেওয়ায় স্ত্রী শান্তনা বেগম তার বাবার উপজেলার নারহট্র সরদারপাড়া গ্রামে পুকুর পাহারা ঘরে এসে ছেলেদের নিয়ে বাবা-মার সাথে একত্রে বসবাস করে আসছিল। স্বামী হাতেম আলী মাঝে মধ্যে এসে ঝগড়া বিবাদ করত। গত বুধবার দুপুরে হাতেম আলী নারহট্র সরদারপাড়া গ্রামে পুকুর পাহারা ঘরে আসে। রাতে শ্বশুর সাহেব আলী বিবির পুকুরে একটি মাছের হ্যাচারীতে কাজ করতে যায় এবং তার শ্বাশুরি বড় ছেলে কে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আতœীয় বাড়ীতে ঘুমাতে যায়। এই সুযোগে হাতেম আলী পরিকল্পিতভাবে পূর্বের পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী শান্তনা বেগমকে গলায় গামছা দ্বারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এলাকাবাসী ধারনা স্ত্রীর পরকিয়া কারনে তাকে হত্যা করেছে স্বামী হাতেম আলী।
কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।