বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মৌসুমি পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।অল্প পুঁজি ব্যয় করে বেশি লাভ হওয়াই দিন দিন পানি ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। এরইমধ্যে লাভজনক এই ফল চাষ করে অনেক চাষির পরিবারে সুদিন ফিরেছে। নিচু পতিত জমি এবং বিল-জলাশয়ে মৌসুমি ফসল হিসাবে পানিফল চাষ হচ্ছে।স্থানীয়ভাবে পানি ফলের নাম সিঙ্গারা নামে পরিচিত।
রোপণের তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে গাছে। ফলটির খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের মিষ্টি শাঁসটি খেতে বেশ সুস্বাদু।সিদ্ধ করেও এ ফল খাওয়া যায়। পুষ্টিকর এ ফলের চাহিদা শহর এবং গ্রামে সব খানেই রয়েছে।
উপজেলার ভাগখোলা, মুরাদপুর,শ্যামপুরসহ অনেক গ্রামেই পানিফলের চাষ হচ্ছে,সুস্বাদু হওয়ায় এ অঞ্চলে ক্রেতাদের মাঝে পানি ফলের চাহিদা বেড়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহরেও বিক্রি করা হচ্ছে এ ফল।
এ ফল কৃষি খাতে নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করেন কৃষিসংশ্লিষ্টরা।
বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ পানিফলের গাছ ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পানির নীচে মাটিতে শিকড় থাকে পানির উপর পাতাগুলি ভাসতে থাকে। বিভিন্ন পতিত ডোবা, খাল, পুকুরের অল্প পানিতেই পানিফল চাষ করা যায়।।
সোমবার সকালে খেত থেকে পানিফল তুলছিলেন ভাগখোলা গ্রামের সোহাগ হাসান তিনি বলেন,পানিফল চাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে পানি ফলের চাষ করেছেন তিনি। এতে খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বিক্রি করেন প্রতি মণ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। তিনি বলেন,জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে আমি পানিফল চাষ করি, এতে খরচ কম আবার উৎপাদন ও বিক্রি বেশি হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন,পতিত জমিতে পানি ফল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এই ফলের পুষ্টিমানও বেশি।উপজেলা কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।