সর্বশেষ সংবাদ ::

নন্দীগ্রামে দুইজনের আত্মহত্যা

বগুড়া সংবাদ: নন্দীগ্রামে পারিবারিক কলহে গৃহবধূ ও মোবাইল কিনে না দেয়াই কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার রাতে  নন্দীগ্রাম উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামে ও শনিবার সকালে উপজেলার শশিনগর গ্রামে এ পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে ।
নিহত জহুরুল  ইসলাম (১৪) উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রাফিজ মিয়ার ছেলে ও নিহত গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার (২৫) শশিনগর গ্রামের
গার্মেন্টস কর্মী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, বেতকুড়ি গ্রামের বাবা রাজমিস্ত্রি রাফিজ মিয়ার সাথে কাজে যেত ছেলে জহুরুল। গত শুক্রবার রাতের খাবার শেষে বাবার নিকট একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার দাবি করেন ছেলে জহুরুল ইসলাম। এসময় বাবা রাফিজ মিয়া ছেলেকে বলেন অভাব অনটনের সংসারে রাজমিস্ত্রির কাজ করে তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে কোনরকম সংসার চালাচ্ছি। টাকা গুছিয়ে কিছুদিন পর তোমাকে একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দিবো। এরপর কিশোর ছেলে জহুরুল ইসলাম বাবার উপর অভিমান করে রাতের কোন এক সময়ে বাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে
অন্যদিকে উপজেলার শশিনগর গ্রামে আড়াই বছর পূর্বে শশিনগর গ্রামের শরিফুল ইসলাম এর সাথে  বগুড়ার মাটিডালি এলাকার সোনিয়া আক্তার (২৫) এর বিবাহ হয়। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিলো। এমতাবস্থায় সোনিয়া আক্তার তার বাবার বাড়িতেই ছিল। গত কিছুদিন  পূর্বে তার বাবা তাকে  শ্বশুর বাড়িতে রেখে যায়। নিহতের স্বামী  শরিফুল ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে ঢাকায় বসবাস করে। এদিকে সোনিয়া আক্তার তার  শ্বশুর- শাশুড়ির সাথে স্বামীর বাড়িতেই থাকতো। এমতবস্থায় আজ শনিবার সকালে শ্বশুর আমিরুল ইসলাম  সোনিয়া আক্তার এর নিকট কিছু টাকা চায়। সে শ্বশুরকে টাকা দিলে শ্বশুর টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর ভিকটিম শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ লাশ উদ্ধার   করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় প্রেরন করে।

Check Also

সোনাতলায় তিনদিন ব্যাপি পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

বগুড়া সংবাদ :  কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে, সোনাতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *