
বগুড়া সংবাদ : এলাকার ত্রাস চিহিৃত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী রোস্তম বাহিনীর আতংকে বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের লহরাপাড়া গ্রামবাসী। আওয়ামীলীগের মদদ পুষ্ট সন্ত্রাসী রোস্তম বাহিনী এখনও অপ্রতিরোধ্য। আদালতে মামলা করেও মিলছেনা প্রতিকার। প্রশাসনের নিকট নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রকৃত হত্যাকারীদের সনাক্ত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসীর।
বিগত ১৬ বছর নারহট্র ইউনিয়নের লহরাপাড়া গ্রামে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে মদদ দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক ২ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তছলিম খাঁ। গ্রামবাসী ও জেলা বগুড়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২৯৫ পি আর/২০২৪ মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় অভিযুক্তরা গ্রামের নিরিহ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে বাড়ী-ঘর ভাংচুর,লুটতরাজ করা সহ মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায়, জমির ধান কর্তন এমনকি গোয়াল থেকে গরু পর্যন্ত তারা নিয়ে গেছে।
মামলার বাদী মানিক শেখ জানান, বিগত বৈষম্য বিরোরী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি তছলিম এর নেতৃত্বে ১৮/০৭/২০২৪ইং তারিখে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান রোস্তম খাঁ বাহিনী আমাদের বাড়ীতে এসে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার নিকট হতে ৪ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা জোরপূবক নিয়ে যায়। অতঃপর একই দিনে মিজানুর রহমানের বাড়ীতে গিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় এবং একই ভাবে সন্ত্রাসীরা রফিকুল ইসলামের নিকট হতে ৯৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়।
বিগত ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবতন হলে গ্রামের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার লক্ষে গ্রামবাসী আলহাজ্ব গোলাম রব্বানীকে মাষ্টাকে সভাপতি ও মোস্তাফিজকে সেক্রেটারী করে একটি গ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। ঐ সভায় তৎকালিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রহিম প্রাং আশ-পাশের গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গসহ বিভিন্ন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে গ্রাম কমিটির বৈঠকে রোস্তম খাঁ ও বাদল খাঁ সহ তার বাহিনীর বিরোদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমানিত হলে উপস্থিত বৈঠকে তারা আদায়কৃত চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে একটি তারিখ নির্ধারণ করে। নির্ধারিত তারিখের ঠিক ২ দিন আগেই ২৯/০৯/২৪ ইং তারিখ রাতে রোস্তম খাঁ ও তার বাহিনীর সদস্যরা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত ভাবে আব্দুল বাছেত নামক বৃদ্ধকে হত্যা করে গ্রামের ১১ জন নিরিহ নিরাপরাধ মানুষদের নামে থানায় হত্যা মামলা করে। এ সময় গ্রামবাসী মামলার ভয়ে পালিয়ে থাকায় সন্ত্রাসীরা পুরোদমে আবারো সন্ত্রাসী ও চাঁদা বাজি শুরু করে। এসময় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে, ধূর্ত রোস্তম খাঁ ও তার বাহিনী নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং হত্যাকান্ডের দায় নিরিহ নিরাপরাধ গ্রামবাসীর উপর চাপাতে এক পরিচিত আতœীয়ের মাধ্যমে অখ্যাত “ উজ্জল বাংলাদেশ ” নামক অনলাইন ইউটিওবের মাধ্যমে মিথ্যা,ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে চাইছেন। তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে গ্রাম কমিটির সভাপতি সেক্রেটারীসহ গ্রামবাসীদের হত্যা,খুন জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ত্রাসের সৃষ্টি করে চলছে।
আর এসব কথা বলেন, রোস্তম খাঁ বাহিনী অন্যতম সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা তছলিম খার এক সময়ের সহযোগী মুকুল হোসেন। তিনি আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্য কর তথ্য প্রদান করে বলেন, যে “বকসী পুকুর” নামক পুকুর পাড়ে রোস্তম বাহিনী একটি গোপন আস্তানা ছিল সেখানে গ্রামের সহজ সরল মানুষসহ এলাকার মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট নির্যাতন করে হত্যার হুমকী দিয়ে মোটা অংকের টাকা তারা আদায় করতো। শুধু তাই না ! গ্রাম কমিটিকে শায়েস্তা ও গ্রামবাসীর চাঁদার টাকা ফেরৎ না দেওয়ার জন্যই তারাই বৃদ্ধ আব্দুল বাছেতকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে নিরিহ গ্রামবাসীর উপর মিথ্যা মামলা করে। গ্রামবাসী বার বার হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘটনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিকট আবেদন করলেও তারা এ ব্যাপারে রহস্যজনক কারনে থেকে যাচ্ছে নিরব। এব্যাপারে গ্রামবাসী, প্রশাসনকে নিরোপেক্ষ থেকে তদন্ত করে হত্যাকান্ডে প্রকৃত রহস্য উদঘটন করে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করার পাশা-পাশী সন্ত্রসী চাঁদাবাজ রোস্তম খাঁ ও তার বাহির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, গ্রামসহ এলাকার আপামোর শান্তি প্রিয় জনগণ।