
বগুড়া সংবাদ : আগামীকাল মঙ্গলবার বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত মিডিয়া কাপ টি-টেন ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখী হবে শহীদ শিমুল একাদশ বনাম শহীদ রাতুল একাদশ। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, পিপিএম, বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল এবং বগুড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল ও বগুড়া বাস মিনিবাস মালিক সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ।
এদিকে, সোমবার একমাত্র সেমিফাইনালে শহীদ সাব্বির একাদশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উন্নীত হয় শহীদ রাতুল একাদশ। বিকেলে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শহীদ সাব্বির একাদশের বিপক্ষে টসে জিতে শহীদ রাতুল একাদশ প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান করে শষহীদ সাব্বির একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে আব্দুস ছালামের ব্যাট থেকে। ১৭ রান করেন দেলোয়ার। শহীদ রাতুল একাদশের আমিন ইসলাম এবং মনির একটি করে উইকেট শিকার করেন। জবাবে শহীদ রাতুল একাদশ অরুপ রতনের ৩০ রানে ভর করে ৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে। দলের পক্ষে স্বরন ১৭ এবং আওয়াল অপরাজিত ১২ রান করেন। শহীদ সাব্বির একাদশের দেলোয়ার এবং এনাম বাবু ১টি করে উইকেট শিকার করেন। বিজয়ী দলের অরুপ রতন ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে শহীদ আব্দুল মান্নান একাদশকে ৪৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হয় শহীদ শিমুল একাদশ। টসে জিতে শহীদ শিমুল একাদশ প্রথমে ব্যাট করে ২ উইকেটে ৯২ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে রিয়াদ ২৬ এবং আল-আমিন অপরাজিত ২৪৩ রান করেন। শহীদ আব্দুল মান্নান একাদশের শাওন এবং মাজেদুর রহমান ১টি করে উইকেট লাভ করেন। জবাবে আব্দুল মান্নান একাদশ ৯ উইকেটে ৪৯ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুক্তার শেখ। শাওন করেন ১২ রান। শহীদ শিমুল একাদশের সাইফুল, আল-আমিন এবং রিয়াদ ২টি করে এবং মীর হায়দার আলী বাদশা ১টি উইকেট শিকার করেন। বিজয়ী দলের আল-আমিন ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। ম্যাচ পরিচালনা করেন খালেদ মাহমুদ রুবেল, সিরাজুল ইসলাম সাজু, এইচ আলিম এবং মীর হায়দার আলী বাদশা। স্কোরারের দায়িত্বে ছিলেন জি আর কানু।
এদিকে, টুর্ণামেন্টের নিয়শ অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডে বিজয়ী ৩টি দল নিয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে বিজয়ী হয়ে শহীদ শিমুল একাদশ সরাসরি ফাইনালে উন্নীত হয় এবং শহীদ সাব্বির একাদশ বনাম শহীদ রাতুল একাদশের মধ্যে একমাত্র সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।