
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক ধুনট রোড মোড়ে সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মানের ঘটনায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে রাস্তার উপরে ট্রাক রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তবে স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে রাস্তাটি পুনরায় উন্মুক্ত হয় এবং জনদুর্ভোঘ লাঘব হয়।
জানা গেছে, ধুনটমোড় ব্যস্ত রাস্তা হওয়ায় যুগ যুগ ধরে শেরপুর ধুনট মোড়ের উত্তর পাশ দিয়ে বাইপাস রাস্তাটি দিয়ে মানুষ চলাফেরা করে। এই রাস্তায় ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফা ব্যাংকের বুথ, প্রোগ্রেসিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহ সকল যানবাহন চলাচল করত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মই রাখাকে কেন্দ্র ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছনির লোকজনদের সঙ্গে বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মারামারির হয়। এরপর থেকে ব্যাক্তিগত জেরে রফিকুল ইসলাম রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাস্তা দখলমুক্ত হলেও, কিছুদিন পর আবারও বালু, ইট এবং ট্রাক রেখে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে প্রায় চার মাস ধরে রাস্তাটি বন্ধ থাকার পর, গত মঙ্গলবার সকালে সেখানে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু হয়। পরে বুধবার সকালে যাত্রী ছাউনির সাইবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশের পর বুধবার বিকেলে প্রশাসন সেখনে পরিদর্শণ করে এবং বৃহস্পতিবার সকালে টিনের ছাউনির ঘরটি সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু রাস্তার উপরে ট্রাক রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের গ্রাহক এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘরটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বাস/ ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য সেখানে জায়গা রয়েছে তা আমরা ইজারা নিয়েছি। জায়গার অনেক অংশ রাস্তার মধ্যে রয়েছে আর রাস্তাটির অনেক অংশ দখল করে নির্মানাধীন বাড়ি করেছে। প্রশাসন বাড়ির মধ্যে থেকে রাস্তাটি উদ্ধার করলেই জনগণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, ঘরটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। জায়গাটি মাপযোগ করে জনগণের চলাচলের রাস্তাতি মুক্ত করে দেওয়া হবে।