
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শাজাহানপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে রোবাইয়া আক্তার পৌশি (১৮) নামে এক নববধুকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় পৌশির বাবা আবু বাদশা বাদি হয়ে ৭জনকে আসামী করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদ করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরণা ইউনিয়নের কড়িআঞ্জুল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে শিহাব উদ্দিনের (২১) সাথে গত ৬ মাস পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের ধামাইর গ্রামের আবু বাদশার মেয়ে রোবাইয়া আক্তার পৌশির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পৌশেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। মেয়ের সুখশান্তির কথা চিন্তা করে পৌশির বাবা ৫০ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন পর আরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। কিন্তু পৌশি তাতে রাজি না হলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকালে পৌশিকে তার স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে পৌশিকে তার শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদি পৌশির বাবা আবু বাদশা জানান, ঘটনার দিন বেলা ১২টার দিকে বিয়াই (ছেলের বাবা) আবুল কালাম আজাদ ফোন করে বলেন যে পৌশি স্টোক করেছে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে মেয়ের বাড়িতে এসে মেয়েকে বারান্দায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তারা বলে যে, পৌশি আত্মহত্যা করেছে। এতে সন্দেহ হলে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে ঘটনার দিন সকালে পৌশি তার স্বামীকে পরকিয়া করতে নিষেধ করলে তাকে মারপিট করে। পরে শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করে। এঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, মামলা হয়েছে। মরদেহের গলায় এবং শরিরে আঘাতের চিন্হ রয়েছে। পোষ্টমর্টেম রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।