
বগুড়া সংবাদ: বিদায় সব সময় বেদনার হলেও কখনো কখনো তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। এমনই এক বিদায় সংবর্ধনা পেয়েছেনে শেরপুর শহীদিয়া কামিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী মাওঃ ইয়াসিন আলী। ওই শিক্ষকের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে মাদরাসা র্কতৃপক্ষ র্বণিল এই আয়োজন করেন। বিভিন্ন ফুলের মালা দিয়ে সাজানো ঘোড়ার গাড়িতে করে ওই শিক্ষকের বিদায় জানান সহর্কমী ও শির্ক্ষাথীরা। (২৪ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১০ টায় বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে শেরপুর শহীদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগজ্ঞ জেলা জামাতের আমির ও শেরপুর শহীদিয়া কামিল মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র শাহীনুর আলম, এ সময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উলিপুর আমেরিয়া সমুতুল্যাহ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী, লিও পাম্প বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এ এইস এম মোস্তফা জামাল, মুহাদ্দিস আমানুল্লাহ সালেহী, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল আজিজ, সাবেক সহকারী অধ্যপক আবু জাফর সিদ্দিকি, সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, সহকারী অধ্যাপক এ কে এম আসলাম, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদের, শেরপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক আশরাফুল আলম, আবুল কাশেম মন্ডল, বাংলা প্রভাষক মাসুদ রানা, সহকারী শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা, সহকারী শিক্ষক এলিছমা খাতুন, সহকারী শিক্ষক শাহ জামাল সহকারী মৌলভী আশরাফ আলী প্রমুখ। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারী, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী সহ বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র,শিক্ষক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার মাওঃ ইয়াসিন আলীর চাকরিজীবনের শেষ দিন ছিল। ওই দিন এভাবেই তাকে সুসজ্জতি ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। বিদায়ী ওই শিক্ষক শেরপুুর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রাামের বাসিন্দা। তিনি শেরপুর শহীদিয়া কামিল মাদরাসায় ১৯৯০ সাল থেকে সহকারী মেীলভী হিসেবে শিক্ষকতা করেন। মাও ইয়াসিন আলী তার শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, আমি বিদায় নিচ্ছি কিন্তু আমার দোয়া রেখে গেলাম। তোমরা লেখাপড়া করে যখন অনেক বড় হবে, তখন আমাদের কথা মনে পড়বে। তোমরা নিজেদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
৭ম শ্রেণির শির্ক্ষাথী সুমাইয়া সুলতানা বলনে, ইয়াসিন আলী হুজুর শুধু শিক্ষক ছিলেন না, তিনি পিতার মতো আমাদের স্নেহ করতেন। তার বিদায় আমাকে খুব মর্মাহত করেছে। তিনি না থাকলেও তার দেওয়া ও শিক্ষা আমাদের মানবিক জীবন গড়তে সহায়ক হবে।