সর্বশেষ সংবাদ ::

সোনাতলায় তুহিন বাদশা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামী এখনও অধরা

বগুড়া সংবাদ :সোনাতলায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় তুহিন বাদশা (৩০) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত দুই আসামীকে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। ঘটনা প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও বাকি চার আসামী এখনো অধরা রয়েছে। উপজেলার তেকানী চুকাই নগর ইউনিয়নের মহব্বতেরপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ২ সন্তানের জনক তুহিন বাদশা। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা ওয়াপদা বাঁধের ওপর একটি ষ্টলের সামনে বসে চা পান করছিল তুহিন বাদশা। এ সময় এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আকস্মিক তুহিন বাদশাকে লাঠি,রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তুহিন বাদশার লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে মহাখালী মেট্টোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তুহিন বাদশার বাবা বিল্লাল হোসেন ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সোনাতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২৪ বেলা ১২টার দিকে তুহিন বাদশা মারা যায়। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। তবে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর শিপন নামে আসামীকে চট্ট্রগ্রাম থেকে ও ২১ অক্টোবর আরাফাত নামে আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন। বাকি আসামীরা এখনো অধরা রয়েছে। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী জানান মামলায় অভিযুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৪ আসামী এখনো ধরা পড়েনি। তাদেরকে গ্রেফতায় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Check Also

দেশের সকল গণতান্ত্রিক অন্দোলনে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে -সাবেক এম পি মোশারফ হোসেন

বগুড়া সংবাদ : কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কাহালু-নন্দীগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *