বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক পৃথক মামলায় হাজতি আসামি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ১০৭ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া সদর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুমিন হাসান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক জামিননামা গ্রহণ করে তাদের কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. খালেকুজ্জামান রাজা গত ২২ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও প্রায় ১৫০ নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে গত ১৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের সাতমাথাস্থ টেম্পল রোডে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে ককটেল বিস্ফেরণ ঘটায়।
আসামিরা মুজিব মঞ্চের শেড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়, বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ ভাঙচুরসহ আওয়ামী লীগ অফিসের ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় মর্মে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগ এনে ২৫ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও সদর পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম গত ১৭ জুলাই দায়েরকৃত একটি মামলায় ২৩ জনকে আসামি করেন।
সদর থানার এসআই নজরুল ইসলাম ১৯ জুলাই ৩৩ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এসআই ফিরোজ মিয়া ১৮ জুলাই ইয়াকুবিয়া মোড়ের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা করেন। একই দিন সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনের ঘটনায় এসআই মো. সোহাগ ফকির ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন।
২১ জুলাই সেউজগাড়ী আমতলার ঘটনায় এসআই মো. দুলাল হোসেন ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।