বগুড়া সংবাদ : র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির অভিযানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এলাকার ক্লুলেস লিচু ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন, ০৬ জন আসামি গ্রেফতার। মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় গত ০৬ জুন ২০২৩ খ্রিঃ রাত্রি ০২.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্ত¡র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। সাইদুর রহমান (২৮), পিতা- মোঃ ফজলুর রহমান, সাং-দিয়া সাতুরিয়া, ২। মোঃ আজিজুল হক (৪৮), পিতা- মোঃ হাফিজ উদ্দিন, সাং-গাজীপুর, ৩। মোঃ মোজাম্মেল হক (৪৫), পিতা-মৃত চাঁন মিয়া, সাং-কাঠাল বাড়িয়া, ৪। মোঃ মতিউর রহমান (৪৩), পিতা-সামছু মিয়া, সাং-বড় বাড়িয়া, সর্ব থানা-নাটোর সদর, জেলা-নাটোর, ৫। মোঃ উজ্জল হোসেন (৩৪), পিতা- মোঃ আলী হোসেন, সাং-বিটিবাড়ী, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ ও ৬। মোঃ সুজন মিয়া (২৯), পিতা-মোঃ আব্দুল জলিল, সাং-কুটিবাড়ী চাঁনপুর, থানা-মধুপুর, জেলা-টাঙ্গাইলগণকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামিগণ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৫/০৬/২৪, পেনাল কোড-১৮৬০ ধারা ৩২৩/৩০৭/৩০২/৩৭৯/৫০৬/৩৪ এর মামলার ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ হেলাল শেখ (৩৬) একজন লিচু ব্যবসায়ী। ০৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে তিনি পাবনা জেলার দাশুড়িয়া এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লিচু ক্রয় করে অজ্ঞাতনামা আরেকজন লিচু ব্যবসায়ীর সাথে একটি ট্রাকযোগে (যার রেজি নং যশোর-ট-১১-২৬২৯) সিরাজগঞ্জের দিকে আসছিলেন। ট্রাকে তারা দুইজন ছাড়াও আরও ৬/৭ জন ব্যক্তি ছিল এবং তারা নিজেদের কে গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে রাত্রি ১০.৩০ ঘটিকার সময় নাটোর জেলার কাঁচিকাটা টোলপ্লাজা পার হওয়ার পর উক্ত ব্যক্তিগন খুন ও লিচু আত্মসাতে উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে এলোপাতারিভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। রাত্রি আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার সময় সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন বোয়ালিয়া এলাকায় ভিকটিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হাত- পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দুইজনকে উদ্ধার পূর্বক শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে অজ্ঞাতনামা লিচু ব্যবসায়ীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখিত ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে র্যাব-১২ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং উপরোল্লেখিত আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিগণকে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।