বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক রাতে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর চিরকুটে একটি মুঠোফোন নম্বর রেখে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের গভীর নলকূপে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্তইর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক রফিক ও শাহজাহান আলী জানান, একরাতেই উপজেলার বন্তইর, হাউসপুর ও বরিয়াবার্তা গ্রামে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। সেই চিরকুটে আবার ছোট করে ‘মিটার চোর’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। এদিকে পরের দিন সকালে এসব চুরি যাওয়া মিটারগুলোর মধ্যে বন্তইর গ্রামের একটি ফসলী মাঠের জমিতে খড়ের স্তুপের মধ্যে ওই গ্রামের বেলাল নামের এক ব্যাক্তির বৈদ্যুতিক মিটার পাওয়া যায়। বাঁকিগুলো না পাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি বিদুৎ অফিস থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে থানায় জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।