বগুড়া সংবাদ : ছাগলে সিম গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে থানায় দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের রানিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ সাকিদার। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার ছেলে সুলতান মাহমুদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত একাধিকবার ইউপি সদস্য যা বর্তমানেও দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানীয় গোলাবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও রানিরপাড়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক এবং আরএমপি কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে সুলতান মেম্বার। আমার ভাই আজিজার রহমানসহ অন্যান্যরা (যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে) তারা ব্যবসায়ী এবং সমাজের নানামুখী সেবামূলক কাজে জড়িত রয়েছে। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন থেকে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কখনো ব্যর্থ হয়েছে আবার কখনো সফল হয়েছে। এর ধারা বাহিকতায় ছাগল সিম গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার পুত্রবধূ পাপিয়া খাতুনের সাথে প্রতিবেশী জাহানারা বেগম এর বাক-বিতণ্ডা হলে ওই কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থা করে। থানা পুলিশ বিষয়টি মামলা বা এজাহার হিসেবে গ্রহন না করলেও তদন্তধীন রেখেছে। ছাগল সিম গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পত্রিকায় মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বাড়ির পাশে নিয়মিত জুয়ার আসর ও অবৈধভাবে নারী ব্যবসা করাসহ আরো নানা ধরনের অবাস্তব কথা লিখে আমার ছেলে ইউপি মেম্বার সুলতান মাহমুদ ও শহিদুল ইসলামের ছবিযুক্ত করে দাগী আসামীদের ন্যায় ২০ ও ২৮নভেম্বর/২৪ বাংলা বাজার পত্রিকা, ২৭নভেম্বর/২৪ অনলাইন পত্রিকা আমার দেশ প্রতিদিন, ২৯/১১/২৪ দৈনিক বগুড়াসহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মানহানি কর। আমি এবং আমরা ওই প্রকাশিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ গুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি চ্যালেঞ্চ করছি উপরোক্ত ঘটনার বৃন্দু পরিমান সত্যতা নেই। ফলে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করছি। প্রকাশিত সংবাদ গুলোতে রানিরপাড়া গ্রামের মহাব্বত মন্ডলের বরাদ দিয়ে বলা হয়েছে, দাপট দেখিয়ে সুলতান মাহমুদ ও তার সহযোগিরা বসত বাড়ির পাশে নিয়মিত জুয়ার আসর বসায় এবং নারী দিয়ে অনৈতিক ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ হাস্যকর এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। কারন মহাব্বত মন্ডলই গত ১২ই জুন/২৪ সন্ধ্যা রাতে তার বাড়ির পাশে এক নারী নিয়ে জনতার হাতে আটক হলে পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে জুয়ার মামলা চলমান রয়েছে। অপর দিকে জাহানারা বেগম ও মিনার হোসেনের বরাদ দিয়ে যে কথা লেখা বা বলা হয়েছে তার কোন প্রকার সত্য নেই। এলাকায় আমরা অত্যান্ত শান্তিতে বসবাস করলে শুধু ওই কুচক্রী মহলের কারনে আমরাসহ আরো অনেকে নানা অশান্তিতে বসবাস করছে। ওই মহলটি নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তা আড়াল করতে এবং আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমরা প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ এবং নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি।”