পারস্পরিক সম্মতি ছাড়া অন্যায়ভাবে অর্থ-সম্পদ জোরপূর্বক নিয়ে ভোগ করা জুলুম। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করবে না, তবে পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসা করা বৈধ, তোমরা একে অন্যকে হত্যা কোরো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর কেউ সীমালঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে এমন কাজ করলে তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, তা আল্লাহর পক্ষে সহজ।(সুরা : নিসা, আয়াত : ৩০)
বিশেষত উত্তরাধিকারদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনে এ ধরনের জুলুম দেখা যায়। পবিত্র কোরআনে সম্পত্তি বণ্টনের মূলনীতি উল্লেখের পর আল্লাহ তা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তা আল্লাহর নির্দেশ, আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সহনশীল। এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নিচে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে এবং তা মহাসাফল্য।
অন্য হাদিসে এসেছে, সায়িদ বিন জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ জমি জোরজবরদস্তি করে দখল করবে তাকে সাত স্তর পর্যন্ত বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৯৮) ।
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সামান্য পরিমাণ জমিও দখল করবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক জমিনের নিচ পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৫৪)