বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাওহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
এসব অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মােঃ তৌহিদুর রহমানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, অধ্যক্ষ তাওহিদ ইসলাম ও তার পিতা আলী আজগর ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টির জমিক্রয়, শিক্ষকদের চাকুরী স্থায়ীকরণ ও এমপিওভুক্ত করার কথা বলে ৪৩ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা গ্রহন করেন।
অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রােজিনা আকতার জানান, কলেজের নামে প্রায় ৩৯ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়। বিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে ৮ শতক জায়গা অধ্যক্ষ নিজ পরিবারের নামে দলিল করে নিয়েছে।
শিক্ষিকা জামিলা আকতার বলেন, দলিল করার পর থেকে অধ্যক্ষ শিক্ষকদের সাথে নানারকম প্রতারনা করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, রেজুলেশনে ৪৩ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর দেখালেও ৮ বছর যাবৎ আমরা ১২/১৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে পাঠদান করে আসছি। অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নানারকম টালবাহানা করায় এখন আর শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেনা। ফলে বিদ্যালয়টির পাঠদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাওহিদ ইসলাম বলেন, এসব অভিযােগ ভিত্তিহীন। আমার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দানস্বরুপ কিছু অর্থ তাদের কাছ থেকে দাতা হিসেবে রশিদমূলে গ্রহন করা হয়েছে। বর্তমানে স্কুলের নামে সাড়ে ২০ শতক জায়গা কেনা হয়েছে। আরাে ১০ শতক জায়গা দাতারা দান করবেন অঙ্গিকার করেছেন। সেটি এখনও দলিল করা হয়নি। স্কুলের টাকা দিয়ে আমার পরিবারের নামে দলিলের বিষয়টি মিথ্যা। ৮ শতক জমি আমার বাবা মার নামে নিজেদের টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি( কবলা) করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মােঃ তৌহিদুর রহমানের কাছে জানতে তিনি বলেন অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।