বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, অন্য একটি রাষ্ট্রের তিলকওয়ালী মূখ্যমন্ত্রী হওয়ায় ছিল শেখ হাসিনার সাধনা- আল্লামা মামুনুল হক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, অন্য একটি রাষ্ট্রের তিলকওয়ালী মূখ্যমন্ত্রী হওয়ায় ছিল শেখ হাসিনার সাধনা- আল্লামা মামুনুল হক

বগুড়া সংবাদ   : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৭২ এর চেতনার মাধ্যমে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাই করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরেও পতিত স্বৈরাচারী শক্তি কিন্তু বসে নেই, ষড়যন্ত্র করছে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব এই বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসরা প্রশসনসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমাদের কষ্টার্জিত, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে আবার কুলষিত করা জন্য।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিগত ৫০ বছর রাজনীতি করেছে, প্রতিশোধ গ্রহণের রাজনীতি আর বিভাজনের রাজনীতি। শেখ হাসিনা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েই রাজনীতি শুরু করেছিল। কিন্তু তার পিতা ৭১ থেকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩০ হাজার মায়ের কোল খালি করে গুম-খুন করেছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি ওইসব গুম খুনের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা সে কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। এক তরফা প্রতিশোধ পরায়ণতার কারণে একজন মানসিক বৈকল্যের নাম শেখ হাসিনা।

মামুনুল হক আরো বলেন, শেখ হাসিনা হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষকে শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। সেসব হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে করতে হবে। ১৫ বছরে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা রাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদয়ের লোকজনকে বিষধর সাপ হয়ে ছোবল মেরেছিলেন। তিনি আবার দিনের বেলায় ওঝাঁ হয়ে ঝেড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বিচার হওয়া উচিত এই কারণে যে, তারা মানসিক প্রতিবন্ধী, সাইকো রোগীকে এত দিনে ধরে মানুষকে কাঁধের ওপর বসিয়ে রেখেছিল। আর এই মানসিক বিকারগ্রস্ত শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়েছে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য। তার চেষ্টা ছিল, তার সাধনা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, অন্য একটি দেশের তিলকওয়ালী মূখ্যমন্ত্রী হওয়ার।

তিনি আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে শাপলা চত্ত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকাল থেকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

Check Also

১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

বগুড়া সংবাদ : সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *