বগুড়া সংবাদ: গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্তি উপলক্ষে এবং শহীদদের স্মরণে সারাদেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বেলা ৪ টা ৩০ মিনিটে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বগুড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় মুক্তমঞ্চের সামনে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আলবীর ইসলাম শাওন, সাকিব খান, মোঃ জাকিরুল ইসলাম, ছাব্বির আহম্মেদ রাজ, নিয়তি সরকার নিতু, নাজমুল হাসান, মুসফিকা নাবা, সেজদা প্রামানিক, আহসান হাবিব, আকিব ইসলাম, আছিয়া আক্তার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “গত জুলাইয়ে চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টের প্রথমে এ আন্দোলন স্বৈরাচার পতনের এক দফায় পরিণত হয়।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।ছাত্র-জনতার এই লড়াইয়ের উদ্দেশ্য ছিলো গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। প্রত্যেকে তার প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার ভোগ করবে, কোথাও কোন বৈষম্য থাকবে না। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, লুটপাট, দূর্নীতি, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ গঠিত হবে। সে লক্ষে ছাত্র জনতাকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। “
বক্তারা আরো বলেন, “আমরা এক স্বৈরাচারকে দেশ থেকে হটিয়েছি। ভবিষ্যতে কেউ যেন স্বৈরাচারী আচরণ না করতে না পারে, দেশকে দূর্নীতি-লুটপাটের রাজত্বে পরিণত না করতে পারে। আমরা অতীতের ন্যায় আগামীতেও যে কোন অপশাসন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখবো।”
সমাবেশে বগুড়ার আন্দোলনের শহীদ শাকিল মানিক ও শিমুল মন্ডলের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা গণহত্যাকারী খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসর যারা এই গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের ফাসি দাবি করেন।
এছাড়া সমাবেশ থেকে বক্তারা সীমান্তে ফেলানী, স্বর্ণা রায়সহ বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা, ভারতীয়, মার্কিনসহ সকল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখার আহ্বান জানান। একইসাথে গণঅভুথানে সকল শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সহযোগির আহ্বান জানান।