বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘিতে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে রহিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে (বরখাস্ত) শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার সচেতন নাগরিক, অভিভাবক ও কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে ১০ দফা দাবিতে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানব বন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান একজন স্বেচ্ছাচারি ও দুর্নীতিবাজ। এছাড়া তিনি নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত। আব্দুর রহমানের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ বে-আইনী। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা সহকারি জজ আদালতে (সারিয়াকান্দি) কোর্টে উক্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং- ৫৬/১৭ অন্য, সানি ০৩/২৪ ইং। তাছাড়া মামলার বিষয় গোপন রেখে বেতন ভাতাদি গ্রহণ। কলেজে অপ্রয়োজনীয় বিভাগ খুলে বিধি বহিভুত ভাবে অনার্স ও ডিগ্রী ৩য় শিক্ষক নিয়োগ করে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য। এনটিআরসি এর নিকট তথ্য গোপন করে ৩য় শিক্ষককে শূন্য পদে বে-আইনী ভাবে নিয়োগ। কলেজে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য, অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য হিতৈষী সদস্য পদে নির্বাচন না করে নানা কালাকানুন ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যববার করে তার মনোনীত ব্যক্তিদের নির্বাচিত করা। তাছাড়া শিক্ষককে অন্যায় ভাবে হুমকি প্রদানের মাধ্যমে তার পক্ষ দলাদলি সৃষ্টি করে থাকেন। উক্ত আব্দুর রহমান অধ্যক্ষ হওয়ার আগে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ওই সময় তিনি কলেজের বিভিন্ন কাগজপত্র চুরি করেছিলেন এবং সেটিও মামলা হয়েছিল। তার স্বভাব চরিত্র খারাপ। তার বিরুদ্ধে সমাজে এলাকায় নারী ঘটিত অসংখ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তার নারী গঠিত কেলেঙ্কারীর কারণে গত ২৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে তার নিজ গ্রামে গাছের সাথে তাকে ঝুলিয়ে গ্রামবাসীরা মারপিট করেন। তাকে অনতি বিলম্বে কলেজ থেকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করা হোক।
এ সময় কলেজ গভার্নিং বডির সদস্য আয়েন উদ্দীন মন্ডল বলেন, আব্দুর রহমান নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িত এবং উনি কলেজে অনেক দুর্নীতি করেছেন, টাকা পয়সা নিয়েও অনেক দুর্নীতি করেছেন। আমরা তার স্থায়ী বহিস্কার চাই।