বগুড়া সংবাদ :কোটা সংস্কার আন্দোলন ও চলমান কারফিউয়ের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ টাকা করে আয় কমেছে। এতে ১৯ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত গত ১১ দিনে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকার মতো আয় কমেছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলেওয়ের এই বৃহত্তম সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ত্রি-মুখী রেলের সংযোগস্থল এ জংশন স্টেশনে ৪৬টির মতো ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ৩৬টি, মেইল ও লোকাল ট্রেন ১০টি। এর বাইরে মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেনও চলাচল করে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারনে রেলওয়ে সম্পদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মূল গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যস্ততম এই রেল স্টেশনের চারদিক বর্তমানে নীরবতা। এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফরমের সকল দোকানপাট বন্ধ, নেই কুলি শ্রমিকরাও। বেকায়দায় রয়েছেন ছিন্নমুল মানুষেরা। তাদের মাথাগোজার একমাত্র জায়গা হারিয়ে গরীবের রাজা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয়ে সান্তাহার স্টেশনে গরীবের রাজা নামে এক ব্যাক্তি বলেন, ট্রেন বন্ধর পর থেকে স্টেশন বসবাস করা ছিন্নমুল মানুষদের তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
সান্তাহারে বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, কম খরচে, দ্রুত সময়ে এবং কম ভোগান্তিতে আমি ট্রেনকে বেশি নিরাপদ মনে করেন। তাই ট্রেন চলাচল না করার কারণে সড়ক পথে ভেঙে ভেঙে দ্বিগুণ খরচে দৈনন্দিন বগুড়া কাজে যেতে হচ্ছে।
স্টেশনে কুলি শ্রমিকের সরদার আলম হোসেন বলেন, ১১ দিন হলো ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টেশনে কাজ না থাকায় কুলি শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সান্তাহার জংশনের আয় কমছে। প্রতিদিনের আয় সঠিক ভাবে নিরূপণ করা যায় না। আয়ের পরিমাণ কম-বেশি হয়। তারপরও গড়ে দৈনিক তিন লাখের মতো আয় কমে গেছে।