বগুড়া সংবাদ : আবারও বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ স্থগিতের আদেশ দেন। আগামী ৯ জুন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থগিত হওয়া ভোট আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার ছিল। কিন্তু আজ হাইকোর্টের আদেশে আবারও স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে এ ব্যাপারে কোন চিঠি পাইনি৷ চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদন করলে ২ জুন নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের উপর ঈদের ছুটির দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সেই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেন। এর আগে, গত ২৯ মে, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুনের বরাদ্দ করা আইসক্রিম প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারে ছাপানো প্রতীকের মিল না থাকায় বগুড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থগিত করা হয়৷ পরে ২ জুন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্থগিত ভোটগ্রহণ ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তির তিনদিন পরেই হাইকোর্টে রিট আবেদন জানালে হাইকোর্ট ভোটগ্রহণ স্থগিতের আদেশ দেন। সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৬ জন। তারা হলেন, এসএম শরিফুল আলম শিপুল (টিয়াপাখি), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জাপা নেতা ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইফতারুল ইসলাম মামুন (আইসক্রিম), এমআর বিপ্লব (তালা), ওবাইদুল্লাহ (মাইক), সোহাগ হোসেন (চশমা), কামরুল বাশার খান (বৈদ্যুতিক বাল্ব), জাকিরুল ইসলাম (গ্যাস সিলিন্ডার), মশিউর রহমান (পালকি), রাজিদুর রহমান (বই), রুকানুজ্জামান (টাইপ রাইটার), শফিউল্লাহ সরকার (ক্রিকেট ব্যাট), সুরুজ শেখ (ঘুড়ি), হাবিব হাসান (উড়োজাহাজ), রায়হান শেখ (পানপাতা) ও দিপংকর কুমার দাস (টিউবওয়েল)। ২৯ মে ভাইস চেয়ারম্যান বাদে চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে বগুড়া জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিলা লীগ নেত্রী তহমিনা আকতার রেশমী বিজয়ী হন।