সর্বশেষ সংবাদ ::

আদমদীঘিতে চাঁদা না পেয়ে কারখানায় আটক রেখে মারপিটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা

বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘিতে দাবীকৃত চাঁদার ৫০ হাজার টাকা  না পেয়ে তহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদুর কারখানায় আটক রেখে অমানসিক নির্যাতনে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম ছাতনি কামারপাড়ার গ্রামের শরিফ উদ্দিনেরে ছেলে তহিদুল ইসলাম নিজেই মামলার বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা

করেন। মামলার এজাহারে যাদের আসামীরা করা হয়েছে তারা হলো, উপজেলার ছাতনি পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে ফারুক হোসেন (৩২) একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে  তৌফিকুর রহমান (৩৯) হবিবর রহমানের ছেলে ফিরোজ মোস্তফা কামাল (৫৩) ও সুজন (৪৩)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনি কামারপাড়ার তহিদুল ইসলামের নিকট থেকে একই গ্রামের ফারুক হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে মোবাইল ফোনে হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল। তহিদুল ইসলাম তার চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে অপর আসামীদের যোগসাজশে গত ২৩ মে বেলা সাড়ে ১১ টায় বাদি তহিদুল ইসলাম হেলালিয়া হাটে গেলে দুটি মোটরসাইকেলে বাদিকে তুলে নিয়ে বাবনাগাড়ী একটি মাদুর কারখানায় নিয়ে আটক রেখে আবারও চাঁদা দাবী করে। তাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে লাঠি সোডা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদি তহিদুল ইসলামকে এলোপাথারী ভাবে মারপিটে গুরুত্বর জখম করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় জনসাধারন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। আটক রেখে মারপিটের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার তহিদুল ইসলাম নিজেই মামলার বাদি এই মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক তারেক রহমান জানান, একটি মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত। আসামী গ্রেপ্তারের  তৎপরতা চলছে।

Check Also

বগুড়া সদরে ধানের শীষের সর্বোচ্চ ভোটে বিজয় হবে তারেক রহমানের…..মাহবুবুর রহমান

বগুড়া সংবাদ : বগুড়া সদরে আসনে ধানের শীষে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তারেক রহমান বিজয়ী হবেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *