
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় অপহৃত নারী উদ্ধারসহ ২ জন অপহরণকারীকে মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২। বুধবার রাতে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার এবং আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাদলদিঘী গ্রামের মোফছের আলীর ছেলে মোঃ গোলাম রব্বানী (৩৮), একই উপজেলার ফেনিগ্রামের মিজানুররহমানের মেয়ে নাজু আক্তার(৩০)। বৃহস্পতিবার র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার ( পুলিশ সুপার ) মীর মনির হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মীর মনির হোসেন জানান, জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন গোড়না এলাকায় মোছাঃ শিরিনা খাতুন (২৪) র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পে এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার স্বামী মোঃ শামীম মন্ডল শিবগঞ্জ থানাধীন কিচক বাজারে একটি স্টিলের বক্স তৈরির দোকানে মিস্ত্রীর কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২০ মার্চ সকালে তার কাজের জন্য কিচক বাজারে যায়। একই তারিখ বেলা ১১টার দিকে তার স্বামীর নিজ নাম্বার হতে ফোন করে বলে সে একটা বিপদে আছে, তাকে জরুরী ভিত্তিতে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে।
তিনি স্বামীর মঙ্গলের জন্য কষ্ট করে দেরি না করে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন। কিছু সময় পরে তার স্বামী আবারো ফোন করে তাকে জানায় ৪/৫ জন ব্যক্তি তাকে অপহরণ করেছে এবং জরুরী ভিত্তিতে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে । তা না হলে তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও ভিকটিম উদ্ধারের উদ্দেশ্যে র্যাবের একটি চৌকস দল তৎক্ষণাৎ অভিযানে নামে। মোবাইল নাম্বার ও বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২০ মার্চ তারিখে রাত ১০ টার দিকে বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বাঘোপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবার কর্তৃক প্রেরিত মুক্তিপণের টাকা উত্তোলনের সময়ে হাতেনাতে মোঃ গোলাম রব্বানী কে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত গোলাম রব্বানীর দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমকে বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম রব্বানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনায় সম্পৃক্ত অন্যান্যদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে অপহরণের আরেক সহযোগি মোছাঃ নাজু আক্তার কে মুক্তিপণের টাকাসহ বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি এলাকা হতে গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে মুক্তিপণের টাকাসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয় যার প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ ২১/০৩/২৪ ধারা-৩৬৫/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়।