তিনি আরো বলেন, জুলাই সকল গণহত্যায় দায়ী এবং দুর্নীতিবাজদের বিচার নিশ্চিত করে সেই সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের জানমাল লুণ্ঠনে জড়িত চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদেরকেও অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে
জুলাই সনদের আইনী ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে হবে। আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতায় পিআর পদ্ধতি এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে না পারলে ‘পিআর পদ্ধতি এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে’
এ সময় তিনি বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের ঘোষণা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। অথচ প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান রূপ না দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি যেই রোডম্যাপ দিয়েছেন, সেই রোডম্যাপেই নির্বাচন হতে পারে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কোন আপত্তি নাই। তবে অবশ্যই নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই আলোকে গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। তারপর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সংসদ ও সরকার গঠন করতে হবে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়। একটি মাত্র দল ব্যতীত অন্য সব দলও পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই দেশের ৭১ শতাংশ জনগনকে এবং ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে উপেক্ষা করে একটি মাত্র দলের জন্য পিআর পদ্ধতি এড়িয়ে যেতে পারে না, পারবে না।
সমাবেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুদের সার্বিক বিকাশ, নৈতিক মূল্যবোধ ও মানবিক গুণাবলি বিকাশে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
জেলা সভাপতি আ.ন.ম মামুনুর রশীদ বলেন, দেশে আজ রাজনৈতিক বিভাজন ও আস্থাহীনতার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো সবার অংশগ্রহনে জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন। এটি হবে জাতীয় ঐক্যের অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মতভেদ নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের প্রতি সম্মিলিত দায়বদ্ধতাই হবে মুখ্য। সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, শ্রমিক সংগঠন, পেশাজীবী, তরুণ ও নারী সমাজসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে- “চলুন, জুলাই সনদের পূর্ণ
বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে পুনরুজ্জীবিত করি, ঐক্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করি।” সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা সহ-সভাপতি-প্রিন্সিপাল মাও, আব্দুল মতিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী- অধ্যাপক মুফতী এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক-মাও: রেজাউল করীম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি-মো: সোহরাব হোসেন, শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক-মো: আবু সাঈদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক- মুহাম্মাদ সোহেল