সর্বশেষ সংবাদ ::

বগুড়া প্রেসক্লাবে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন মুরইলে জনসেবা ৬ মাস যাবত ব্যাহত, মানা হয়নি আদালতের নির্দেশনা

বগুড়া সংবাদ  : বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা গত ৬ মাস যাবত ব্যাহত হচ্ছে, সেই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য সিহাব শেখ। বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেইসাথে তার প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে তার সাথেও অবিচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মুরইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু হাসান, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহিদুর রহমান, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহাগ, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য তবিবর রহমান ও সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রাশেদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সিহাব শেখ বলেন, মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের মৃত্যুর পর ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ইমদাদুল হক মল্লিক গত ৫ আগষ্টের পর বিস্ফোরক ও হত্যা মামলার আসামী হয় এবং জেল হাজতে ছিলেন। প্যানেল চেয়ারম্যান-২ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব চলতি বছরের গত ৪ই মার্চ দায়িত্ব প্রদান করে। এবং ৬ই মার্চ/২০২৫ ইং তারিখে তা বাতিল করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কে প্রশাসক নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে আমি হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করি যাহার রীট নং-৫৬৬৯। পরে ১৮ই জুন প্রশাসককে বাতিল করে আমাকে পুনরায় প্যানেল চেয়ারম্যান-২ শিহাব শেখ দাযিত্ব প্রদান করে। বর্তমানে আমি উক্ত দায়িত্ব পালন করছি। এমতাবস্থায় তারা সুপ্রীম কোর্টে ২৮৬৯ নম্বর রীট করে। যার বিচার চলমান আদালতের আদেশ রীট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এর দায়িত্ব পালন করতে পারবো মর্মে আদেশ প্রদান করে। এরই মাঝে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর/২০২৫ তারিখ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আমাকে সরিয়ে দিয়ে প্রশাসক উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান চিঠি প্রদান করে। কিন্তু হাইকোর্টের রীট পিটিশন ৫৬৬৯ অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান-২ হিসেবে বৈধভাবে দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে বলতে হয় প্রশাসনের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশ উপেক্ষা করে আমাকে হয়রানি করছেন। এটি শুধু একজন জনপ্রতিনিধির প্রতি অন্যায় নয়, বরং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার প্রতি আঘাত। কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দিয়েছেন আমাকে বিরত থাকার জন্য এবং সমাজ সেবা কর্মকর্তা কে দায়িত্ব পালন করার জন্য। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে। এঘটনায় মুরইল ইউনিয়নের শতশত সাধারণ মানুষ প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও গত ৫ অক্টোবর নিজ এলাকায় মানববন্ধন করেছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে, তাদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায়।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিহাব শেখ বলেন, ইউ এন ও কর্তৃক সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। এবং ইউএনও কর্তৃক আমার প্রতি যে অন্যায় অবিচার হয়রানি করা হয়েছে সেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে মুরইল ইউনিয়ন বাসীর জনসেবা গত ৬ মাস যাবত বিভিন্ন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে, দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন উপস্থিত ইউপি সদস্যরা।

Check Also

দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ

বগুড়া সংবাদ : দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসাবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হককে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *