
বগুড়া সংবাদ : দুপচাঁচিয়ায় দাইমপুর ইশার উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম এর নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে সাবেক দাতা সদস্য ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সভাপতি পদপ্রার্থী রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল দাইমপুর ইশার উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। গত ২০১৬ ইং সালে আমি এ মাদ্রাসার দাতা সদস্য নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে প্রায় তিন বার ওই মাদ্রাসার কমিটি গঠন হলেও আমাকে এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী জানানো হয়নি। ২০২৪ ইং সালে পূবের্র কমিটি সরকার কর্তৃক বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৩/০৮/২০২৫ ইং তারিখে উক্ত মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষনা করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী তফসিলের কাগজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাঙ্গিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও এ মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সালাম পকেট কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে তা করেন নি। আমি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য তফসিল ঘোষনার কথা ২৬/০৮/২০২৫ ইং তারিখে জানতে পেরে মাদ্রাসার অফিস সহকারির নিকট থেকে তফসিলের কাগজ সংগ্রহ করি। তফসিলে ১১/০৯/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত সভাপতি, দাতা সদস্য, সাধারণ অভিভাবক সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সংরক্ষিত সাধারণ শিক্ষক এবং মহিলা শিক্ষক সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ উল্লেখ রয়েছে। আমি সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র উত্তোলনের জন্য গত ১/০৯/২০২৫ ইং তারিখে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ও মাদ্রাসার প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ জাহিদ হাসান এর নিকট গেলে তিনি বলেন গত ২৬/০৮/২০২৫ ইং তারিখে ওই মাদ্রাসার কমিটি গঠন হয়েছে। এতে করে আমি তফসিলের কাগজ তাঁকে দেখালে তিনি সদুত্তর দিতে না পেরে মাদ্রাসার সুপারের নিকট আমাকে যেতে বলেন। তাঁর কথায় বোঝা যায় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে ঘিরে এ অনিয়ম মাদ্রাসার সুপারই করেছেন। এ মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সালাম নিজের স্বার্থ চরিত্রার্থ করার জন্য শুধু যে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে যে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে তা নয়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীতির পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিয়োগ ও যোগদান পত্র ভূয়া করে তৈরি করেছেন। এ্যাডহক কমিটিকে ম্যানেজিং কমিটি বানিয়ে অফিসে কাগজপত্র পেশ করেছেন। রেজুলেশনের পুরাতন ইনডেক্স ৩৮৯৩৬৭ জারির বিল পাশ করে নতুন ইনডেক্স ২১১৭৫৪৫ নং এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও মাদ্রাসায় বরাদ্দকৃত টাকায় মাটি ভরাট না করে গর্ত করে মাদ্রাসার ক্ষতি সাধন করেছেন। মাদ্রাসায় দুই জন চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ১৬ লাখ টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে ৩১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা করার হুমকি দেন। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ দুনীতিবাজ সুপারের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।