
বগুড়া সংবাদ : অদ্য ০৪ সেপ্টম্বর’২০২৫ ইং রোজ: বৃহস্পতিবার বাদ আসর হতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে ফতেহ আলী শফিকের সঞ্চালনায় পি. আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবীতে সমাবেশ ও পরবর্তীতে শহরে বিক্ষোভমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ।
সমাবেশে আল্লামা আব্দুল হক আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঢেলে সেজে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহোযোগিদের বিচার করতে হবে। জুলাই বিপ্লবকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, খুনিদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করে গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ভেতরে আলাদা একটি সরকার অনুভব হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের সচ্চতা নিয়ে জনমনে নির্বাচ-নকে ঘিরে নেতিবাচক প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন শুধু একটি নির্বাচন নয়; এটি একটি বিপ্লব-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের
সুযোগ। ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মধ্য দিয়েই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য পি. আর নির্বাচন সম্ভব। বর্তমান সরকারকে সর্তক করে তিনি বলেন, যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে না, বরং সমস্যার গভীরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। গুম ও খুনের বিচার, আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় জনগণ সেই নির্বাচন গ্রহণ করবে না।
সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে দেশ নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে, প্রার্থীগণ প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের ওপর হামলা, পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যাবে না। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর প্রতি মাঠপর্যায়ের প্রশাসন দুর্বল থাকলে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত সহিংসতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আরও প্রায় ২০ হাজার আহত হয়ে অন্ধ ও পঙ্গু হয়েছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় আছেন। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ প্রকৃত অর্থে ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের মুখে হাসি ফোটানো, জীবনমান উন্নয়ন এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।
আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ইসলামী আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা- মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী- অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, ছাত্র ও যুব সম্পাদক- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী। আরো বক্তব্য রাখেন- যুব আন্দোল-ে জয়েন্ট সেক্রেটারী- অধ্যাপক নর জেলা সভাপতি- সোহরাব হোসেন, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি- ফরহাদ হোসেন মন্ট, জেলা ছাত্র নেতা- সোহেল রানা প্রমুখ।